Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচন যাওয়া না যাওয়া নিয়ে বিএনপির সঙ্গীদের ভাবনা, দেখা দিয়েছে নতুন সংশয়

নির্বাচন যাওয়া না যাওয়া নিয়ে বিএনপির সঙ্গীদের ভাবনা, দেখা দিয়েছে নতুন সংশয়

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ৩৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একযোগে বিক্ষোভ করছে বিএনপি। এদিকে বুধবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সমমনা দলের একটি কল্যাণ পার্টি। এখন আন্দোলনের মাঠে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার অনুপস্থিতি, হঠাৎ করে কয়েকজনের অন্তর্ধানও নানা আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকেও জোটের শরিকদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার শঙ্কা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

নুরুল হক নূরের গণঅধিকার পরিষদ, জাগপা, এনডিপিসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাও তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী করতে বৈঠক করছেন। গত মঙ্গলবার সৈয়দ ইব্রাহিমের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব দলও উপস্থিত ছিল। তবে পিপলস রাইটস ও এনডিপি জানিয়েছে, তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না।

গতকাল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়ে হরতালের সমর্থনে এক সমাবেশে নুরুল হক নূর তার অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, সরকার আজ রাজনীতির মাঠে কোরবানির হাট বসিয়েছে। এই কোরবানির হাট গুরু-ছাগলের মতো বিক্রি হচ্ছে রাজনীতিবিদরা।

নুর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পঁচাত্তরের বাকশালী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৪ আর ১৮ সালের নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে।

জনগণের ভোটাধিকার নেই, নির্বাচনের পরিবেশ নেই।
এনডিপি সভাপতি আবু তাহের ও মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হারুন গাতাকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে দীর্ঘায়িত করতে সহযোগিতা করবে তারা জাতীয় বিশ্বাসঘাতক হবে এবং ইতিহাসের কবলে পড়বে।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা গতকাল অবরোধের সমর্থনে মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে হুমকি-ধমকি ও লোভ-লালসা দিয়ে বিরোধী শিবির থেকে দু-চারজন নেতাকর্মীকে ভাগিয়ে নির্বাচনে নেওয়ার অপচেষ্টা করে সরকারের শেষরক্ষা হবে না।

এ ছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনে যাবে না বলে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

ইসলামী দলের ধারণা
বিএনপির সঙ্গে সরাসরি একযোগে আন্দোলন না করলেও এখন রাজনীতির মাঠে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন তাদের সমমনা।

এই দুই গ্রুপই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত স্পষ্ট। তবে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান গতকাল রাতে বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচনে যাওয়ার কোনো পরিবেশ নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের জামিয়া নুরিয়া আশরাফাবাদে সমমনা ইসলামী দলগুলোর এক বৈঠকে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই।

সভায় উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজীবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজীজুল হক ইসলামাবাদী ও জমিয়তের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া প্রমুখ।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *