সম্প্রতি নির্বাচন সামনে রেখে নানা সমীকরণ দেখে যাচ্ছে সরকারের মধ্যে।যদিও তারা আবারও একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটছে কিন্তু এবার আর ১৪ ও সালের মতো নির্বাচন করে পার পাবে না তারা বুঝতে পারছে।যা কারণে নতুন কৌশলে কীভাবে বিএনপির দলছুট নেতাদের সরকারের পক্ষে এনে বর্হিবিশ্বে দেখানোর চেষ্টা করবে যে তারা একক নির্বাচন করেননি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
আমি তখন দেশে আমাকে প্রফেসর প্রাণ গোপাল দত্ত ডাইক্যা পাঠালেন। তখন উনি ভিসিগিরি থেকে রিটায়ার করছেন। আমি গেলাম। উনি গ্রীন লাইফ হাসপাতালে অপারেশন করবেন। ডক্টরস রুমে আমারে লাঞ্চ করালেন। তারপরে বললেন, তোমার বুদ্ধিতে আমার আস্থা আছে। তুমি কও তো আমি কি আওয়ামী লীগ থেকে এমপি ইলেকশন করবো?
আমি উনার প্রশ্ন শুইন্যা স্তব্ধ হইয়া গেলাম। আমি বললাম স্যার, আপনার স্বপ্ন এতো ছোট ক্যান? আপনি মেডিক্যাল কমিউনিটিতে পরিচিত সন্মানিত। প্রফেশনালি আপনি সাকসেসফুল। আপনি ভালো সার্জন। আপনি পাব্লিক রিলেশনে ভালো। আপনি আওয়ামী লীগার হওয়া স্বত্ত্বেও অন্য মতের মধ্যে আপনার গুনমুগ্ধ আছে। আমার মতো আওয়ামী বিরোধীও আপনি ডাকলে ছুইট্যা আসে। আপনি ক্যান এমপি হবেন? আপনার তো টেকা পয়সারো অভাব নাই। আপনি বরং দেশের বিবেক হন। সেইসময়ে তিনি বাংলাদেশের ডাক্তারির কোয়ালিটি, এথিক্স, ডায়াগোনোস্টিক সেন্টারের কমিশন খাওয়া, ওষুধের দাম ইত্যাদি নিয়ে কিছু কথা বলা শুরু করছেন। পাব্লিকে ভালোই খাইতেছে। আমি বললাম, আপনি এইযে কথা বলতেছেন নানা নৈতিক ইস্যু নিয়া, এই কাজই করেন। ডাক্তারদের গুরু আছেন ব্রিগেডিয়ার মালিক স্যার, আজাদ খান স্যার কিন্তু উনারা এইগুলা বলেন না। আপনি বলতেছেন আপনি ডাক্তারদের মধ্যেই শুধু না, জাতির একটা ফাদার ফিগার হইয়া উঠবেন। আমি এইটাও বললাম। আপনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় থেকে প্রেসিডেন্ট চাইলে আপনার চাইতে ভালো ফিগার কে আছে? বিএনপিও যদি হিন্দু সম্প্রদায় থিকা একজন প্রেসিডেন্ট বানাইতে চায়, আপনি একজন ভালো প্রার্থী হিসেবে তাদের বিবেচনায় থাকবেন। ওরা বানাবে কিনা জানিনা কিন্তু বিবেচনা করবে আমি শিওর। এইটাই তো আপনার এচিভমেন্ট।
উনি মাথা নাড়লেন। মনে হইলো আমার কথা তিনি মাইন্যা নিলেন। ওরে বাবা, উনি ফাদার ফিগার হইবেন না, উনি এমপি হওয়ার লোভ সামলাইতে পারলেন না।
জেনারেল ইব্রাহিম আমার সাথে কথা কইতে চাইছিলেন। কয়েকবার উনার দলের লোক ফোন দিছেন। বলছেন উনি পাশে আছেন কথা বলতে চান। ততোদিনে আমি এবি পার্টির কাছে থিকা জাইন্যা গেছি উনার মতলব সুবিধার ঠেকতেছে না।
ভালো হইছে উনি হাসিনার ইলেকশনে যাইতেছেন। আমরা ক্ষুদ্রকালে বলতাম “ভর”। মানে এমন কেউ যে আমাদের জন্য বোঝা। আমাদের লড়াইয়ের মেদ। কঠিন সময় ভালো, মেদ ঝড়াইতে সাহায্য করে। জেনারেল ইব্রাহিম প্রেসিডেন্ট হইতে পারতেন। তিনি এমপি হইবেন। তাও আবার হাসিনার এই ইলেকশনের এমপি। তথাস্তু। উনার পতন সুখের হোক।