হাটহাজারীতে বিএনপির ৩৫ দলীয় জোটের অন্যতম বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
লিখিত বক্তব্যে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো বর্তমান সরকারকে অবৈধ উল্লেখ করে তার অধীনস্থ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার পার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ খবর প্রকাশের পর হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম তার শেষ বয়সে স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ এবং অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের জঘন্য কাজ করেছেন।
আরও বলা হয়, বেইমানি করা উনার মজ্জাগত ও স্বভাবসিদ্ধ ব্যাপার। মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৯৯৬ সালে জেনারেল নাসিমের অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিলেন এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস কর্তৃক মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খানের সঙ্গে বরখাস্ত হন। সেই জেনারেল হেলাল মোরশেদ খান এখন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের ১০০ ভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানকে জোটকে সম্মান দেখিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়। বিএনপির সব ইউনিট তার পক্ষে কাজ করে। কিন্তু তারপরও তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে তৎকালীন মহাজোটের প্রার্থীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
ইব্রাহিমের নির্বাচনে কাজ করার সময় হাটহাজারী বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী হামলা-নির্যাতনের শিকার হলেও তিনি কারো খোঁজ খবর নেননি। অতএব, এটা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায় যে, ভন্ডামি ও অসততা তার মর্মমূলে রয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিমকে বিদ্বেষের বশে প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরাও তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। আর হাটহাজারী উপজেলা উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পরিবারের কেউ যদি ইব্রাহিমের কোন প্রকার সহযোগিতা করে বা যোগাযোগ রাখে তাহলে তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।