ভিডিও ধারণ করায় সংবাদিককে পকেটমার আখ্যা দিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরপরই শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। এ ঘটনায় এখনও থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, পকেটমার সন্দেহ খায়রুল ইসলাম এক ব্যক্তিকে মারধর করছেন। এ সময় স্থানীয় সংবাদকর্মী মোজাহিদুল ইসলাম মারধরের ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। মারধরের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক মুজাহিদকেও পকেটমার আখ্যা দিয়ে মারধর করতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল ইসলাম।
মারধরের শিকার সাংবাদিক মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, সমবায় দিবস উপলক্ষে শ্রীপুর উপজেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পকেটমার সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একজনকে মারধর করছিলেন। এটা দেখে আমি ভিডিও ধারণ করি। এরপর খায়রুল ইসলামসহ কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালায়। পরে যমুনা টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি হোসাইন আলী বাবু গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি চোরকে মেরেছি, সাংবাদিককে নয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কেন মেরেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চোরকে মারার ভিডিও কেন সাংবাদিক ধারণ করবে। তাই চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।
তবে এ ঘটনায় সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে আ’লীগ নেতা খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই।
এদিকে এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ওসি তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাননি তিনি। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে তদন্ত চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।