Thursday , September 19 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার বাড়ছে পানির দাম, বিস্তারিত জানালেন প্রকৌশলী ফয়জুল্লাহ

এবার বাড়ছে পানির দাম, বিস্তারিত জানালেন প্রকৌশলী ফয়জুল্লাহ

সম্প্রতি সময়ে দেশে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সহ তেল এবং গ্যাসের দাম মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বেশ বিপাকে পড়েছে দেশের জনগন। এবং এমন দাম বৃদ্ধিকে ঘিরে দেশ জুড়ে চলছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা। এই সংকটময় পরিস্তিতির মধ্যে নতুন করে সুসংবাদ পেল বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসী। পানির দাম বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এই বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।

ডিসেম্বর থেকে পানির দাম বাড়াতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের প্রতি ইউনিটে ৬২ পয়সা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ১ টাকা ৫২ পয়সা বাড়তি গুণতে হবে। সংস্থাটির দাবি করছে, পানির উৎপাদন খরচ এবং সংস্থার ব্যয় নির্বাহের জন্য দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। এদিকে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, সিস্টেম লস কমিয়ে সেবার মান বাড়ানো উচিত সংস্থাটির। প্রায় ৬০ লাখ বাসিন্দার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিন পানির চাহিদা ৪৫ থেকে ৫০ কোটি লিটার। গ্রীষ্মকালে তা ৫৫ কোটি লিটার ছাড়িয়ে যায়। বিশাল এ চাহিদা চট্টগ্রাম ওয়াসা পূরণ করে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে উৎপাদিত পানি এবং ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যমে। ওয়াসার এ সুবিধা পেতে আবাসিক গ্রাহকদের প্রতি ইউনিটের ১২ টাকা ৪০ পয়সা এবং অনাবাসিকে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা ব্যয় করতে হয়।

তবে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে আবাসিকে ইউনিটে ৬২ পয়সা এবং অনাবাসিকে ১ টাকা ৫২ পয়সা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফয়জুল্লাহ বলেছেন, প্রতি হাজারে যে বিলটা বর্তমানে হয়, সেটিতে আবাসিকে ৬২ পয়সা বাড়বে। তবে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাড়বে একটু বেশি। তেল-গ্যাসের পর পানির এই বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। তারা বলেছেন, যে রকম আছে সেটাই তো অনেক বেশি। এখন এটি বাড়ালে তো আমরা বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকতে পারব না। এখন বাড়িওয়ালা আমাদের ভাড়া বাড়িয়ে দেবে। গ্যাস বিলও বাড়তি, পানির বিলও বাড়তি। তাহলে মানুষের কষ্ট তো হবেই।

এদিকে ক্যাব বলেছে, ওয়াসার সিস্টেম লস কমিয়ে খরচ কমানোর পাশাপাশি পানি সরবরাহ ও সেবার মান বাড়ানো উচিত। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেছেন, ওয়াসাতে সিস্টেম লসের পরিমাণ কিন্তু ৩০ শতাংশের উপরে। সিস্টেম লস যদি এত বেশি হয়, তাহলে এর মান যে ভাল এটা তো বলা যাচ্ছে না। এর আগে ২০১৯ সালে পানির দাম ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছিল ওয়াসা। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাতে রাজি না হাওয়ায় গত বছরের পহেলা মার্চ দ্বিতীয় দফা পানির দাম পুনর্নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি।

চট্টগ্রাম ওয়াসা ডিসেম্বর মাস থেকেই পানির দাম বাড়াতে যাচ্ছে। বৃদ্ধিকৃত নতুন দাম হিসেবে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিটে ৬২ পয়সা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ১ টাকা ৫২ পয়সা বাড়তি টাকা গুণতে হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা কতৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ চট্টগ্রাম বাসীরা।

About

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *