গত বুধবার থেকে সমগ্র দেশে একযোগে ডিজেল এবং কেরোসিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দাম বৃদ্ধিতে দেশের পরি ব হন সেক্টরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এবং পরিবহন মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এতে করে দেশের জন সাধারন বেশ বিপাকে পড়েছে। এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেকেই আটকা পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থার অভাবে। তবে এই দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্ট দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
দেশে সম্প্রতি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, গুজব থেকে দূরে থাকুন, সত্য তথ্য জানুন। শনিবার রাত ৯টার পর নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে দেয়া একটি পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেন। ‘ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও কিছু তথ্য, গুজব থেকে দূরে থাকুন- সত্য তথ্য জানুন’ শীর্ষক তার পোস্টটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো-
দেশে সম্প্রতি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে দেশে ডিজেলের মূল্য ছিল লিটার প্রতি ৬৮ টাকা, পরবর্তীতে ২০১৬ সালে লিটার প্রতি তিন টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়। এরপর গত সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এর ফলে ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়। এ বছরের জুন মাসে লিটার প্রতি ২.৯৭ টাকা, জুলাই মাসে ৩.৭০ টাকা, আগস্টে ১.৫৮ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫.৬২ টাকা এবং অক্টোবরে ১৩.০১ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এতে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলের জন্য বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১১৪৭.৬০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে ডলারের মূল্য ২০১৬ সালে ৭৯ টাকা থেকে চলতি মাসে ৮৫.৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
ভারতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও পশ্চিমবঙ্গে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯০ রুপি বা ১০৪ টাকা, দিল্লিতে ৯৮.৪২ রুপি বা ১১৪ টাকার সমান। নেপালেও এই মূল্য ১১২.৩৯ নেপালি রুপি বা ৮১ টাকা। প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে আমাদের মূল্য কম রয়েছে। এ কারণে আবার চোরাকারবারিরা এখান থেকে প্রতিবেশী দেশে ডিজেল পা/চা/র করছে। সরকার ক্রমাগতভাবে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এর ফলে এদেশে দাম কম থাকায় বিদেশে পা/চা/র হয়ে যাচ্ছে, যা রোধকল্পে এই মূল্যবৃদ্ধি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।
প্রসঙ্গত, এদিকে দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সরকারী ভাবে জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন পদক্ষে্বপ নেওয়া হয়েছে। এমনকি বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে সমন্বয় করেও এই দাম কমানো হবে। তবে হঠাৎ করে একবারে ১৫ টাকা বৃদ্ধিতে সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে সরকার চলমান এই সংকট নিরসনের জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করছে।