একতরফা তফসিল ঘোষণার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান।
সোমবার রাজধানীতে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মিছিলটি মিরপুর-২ মসজিদ কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চিরিয়াখানা রোডে গিয়ে শেষ হয়।
তিনি বলেন, সরকারের অবৈধ ক্ষমতার অভাব ও হঠকারিতা দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বিরোধী দল বাদ দিয়ে নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না। তিনি নির্বাচন কমিশনকে একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। অন্যথায় পরিস্থিতির দায় কমিশনকেই নিতে হবে।
মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকারের অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাব দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সরকারের সীমাহীন কূটনৈতিক ব্যর্থতা দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধুহীন রাষ্ট্রে পরিণত করছে। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও দাতা সংস্থার কোনো কথাই আমলে নেয় না। বরং তাদের অবৈধ রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দেশকে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাই এই অপশক্তির হাত থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধকে আরও প্রশমিত করতে রাজপথে নামতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় জনরোষে ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য মো. নকীব, রিমন তমাল, জামাল উদ্দিন, ছাত্রনেতা ইমরান, আসাদ, ফাহাদসহ মিরপুর থানার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে মিরপুর ১৩, ফার্মগেট, উত্তরা, মিরপুর ১১, রামপুরা, মোহাম্মদ এলাকায় অবরোধের পিকেটিং করা হয়।
এদিকে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর রমনা বেইলি রোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য শাহীন আহমদ খান, মুতাসিম বিল্লাহ, মুহাম্মদ নুরুদ্দিন, ইমাম হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।।
এ ছাড়া বাবুবাজার, নয়াবাজার, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, বাসাবো আন্তর্জাতিক সড়ক, ধানমন্ডিতে সড়কে পিকেটিং করা হয়।