গত ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করা হয়। আর উদ্বোধন হতে না হতেই চুরির কবলে পড়েছে নবনির্মিত এই রেললাইন। গত রোববার রাতে সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীবাড়ি এলাকার সামনে রেললাইন থেকে স্লিপার দিয়ে রেললাইন আটকে থাকা ৮/১০টি ক্লিপ নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা যায় যে ক্লিপগুলি (লোহার হাতুড়ি আকৃতির টুকরা) স্লিপারগুলির সাথে রেলগুলিকে একসাথে ধরে রাখতে ব্যবহৃত হয়। একটি স্লিপারের উভয় পাশে ৪টি ক্লিপ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নামলেই রেললাইনের আশপাশে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এখনই তা দমন করা না হলে অচিরেই বড় ধরনের নাশকতার কবলে পড়বে স্বপ্নের এই রেললাইন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও কালিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। খবর পেয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস ও সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান জানান, দুর্বৃত্তরা রেললাইনের কিছু ক্লিপ চুরি করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই ক্লিপগুলো নাশকতার জন্য নয়, একদল মাদকসেবী চোর চুরি করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রেললাইনে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম চৌধুরী জানান, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছেন। আগামীকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলওয়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানান, আগামীকাল ঘটনাস্থলসহ পুরো রেললাইন পরিদর্শন করবেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই ক্লিপগুলি নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে নয়, একদল মাদকসেবী চোর চুরি করেছে।