রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ডিএমপি। নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. মাহিদ উদ্দিনবলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে তিন দফা অবরোধ ও একদিন হরতাল পালিত হয়েছে। এসব কর্মসূচিকে ঘিরে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ দিনে মোট ৬৪টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৬৪টি মামলা হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর ভোরে দুর্বৃত্তদের আগুনে নাঈম (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। অসীম পরিবহনের একই বাসে রবিউল ইসলাম (২৫) নামে আরেক যুবক দগ্ধ হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
আগুন দিতে গিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে সাধারণ মানুষ ও পুলিশ। কেউ কেউ নিচ থেকে যাত্রীবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে পেট্রোল, গান পাউডার, রং, তুলা, পুরাতন কাপড় ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুরেও আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ কর্মসূচিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে পারলে নগদ ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনারের ডাকে সাড়া দিয়েছেন রাজধানীর সাধারণ মানুষ। অবরোধের সময় নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া অনেক অগ্নিসংযোগকারীকে সাধারণ মানুষ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে। এদিকে, তথ্য দিয়ে ভাঙচুরকারীদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করায় একজনকে নগদ পুরস্কার দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা কাউকে পুড়িয়ে দিলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।