ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, রিমান্ডে থাকা বিএনপি নেতারা ২৮ অক্টোবর বিএনপির সম্মেলন ঘিরে সহিংসতার দায় স্বীকার করেছেন। ডিবি প্রধান দাবি করেন, এ ঘটনায় বিএনপি নেতারা তাদের দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সহিংসতার ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সংঘ”র্ষের সময় পুলিশ সদস্য আমিরুল হ”ত্যা, বিচারকের বাসায় হামলা, কাকরাইল, রমনা, মৌচাকে বাস পোড়ানোর ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মধ্যে হাসান হাওলাদার নামে একজন রয়েছেন। তিনি গুলশান থানা ছাত্রদলের কর্মী। ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাংচুর ও বিআরটিসি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
এই সহিং”স কাজ করার পরে, আবার টিকটক করে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আরেকজনের নাম কামরুজ্জামান টুকু। তিনি লেবার পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি বিএনপির সমাবেশে অংশ নেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলায় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ছাড়া আবুল হোসেন জুয়েল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. সংঘর্ষ চলাকালে তিনি বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচু’র ও পুলিশের ওপর হা”মলা চালান। রানা মিয়া ৭নং ওয়ার্ড মুগদা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব। সমাবেশে পুলিশ হ”ত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের নাম ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উঠে আসে। মহিউদ্দিন হৃদয় রমনা থানা যুবদলের ১৯ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে তারা প্রথমে মৌচাকে বলাকা বাসে আগুন দেয়, পরে কাকরাইল মোড়ে বাসে আগুন দেয় এবং পরে পুরাতন রমনার সামনে বাসে আগুন দেয়। থানা.
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, রিমান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া কেন্দ্রীয় নেতারা প্রাথমিকভাবে হামলা ও সহিং”সতায় বিএনপির সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। পরে আমরা তাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখালে তারা দুঃখ প্রকাশ করে। সিনিয়র নেতারা স্বীকার করেছেন যে তারা সহিংসতার দায় এড়াতে পারবেন না।