স্বামী-সন্তান থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন স্বপ্না আক্তার (৪৫)। আর এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে প্রেমিকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার একপর্যায়ে মাকে দেখে ফেলে মেয়ে মাইশা আক্তার। এরপরই এ ঘটনায় রীতিমতো প্রতিবাদ করে বসলে পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগীতায় নিজ মেয়েকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগে মা স্বপ্না আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃত মাইশা আক্তার ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। সে পার্শ্ববর্তী সূতারপাড়া ইউনিয়নের চামড়া কওমি মাদরাসার নাহবেমীর ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবা বাবুল মিয়া ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে নৈশ প্রহরীর চাকরি করেন।
পুলিশ জানায়, চরদেহুন্দা গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না আক্তারের সাথে ফাইজুল নামে এক ব্যক্তির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ফাইজুল স্বপ্নার বাড়িতে এসে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় মেয়ে মাইশা আক্তার বিষয়টি দেখে প্রতিবাদ করলে প্রেমিকের সহযোগিতায় মাইশাকে চিরতরে শেষ করে দেয় মা স্বপ্না। ঘটনার পর মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় ফাইজুল।
স্বামী বাবুল মিয়া জানান, স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি অনেক দিন ধরেই জানতাম। এ নিয়ে দেনদরবার করেও স্ত্রীকে ভালো পথে ফেরাতে পারিনি। এখন আমি মেয়ে হারালাম। স্ত্রীকেও হারাতে হবে। সকালে খবর পেয়ে ছোট ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে আসি। এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব।
এ ঘটনায় পরবর্তীতে নিজে বাদী হয়ে স্ত্রী স্বপ্না আক্তারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন স্বামী বাবুল। আর এ মামলার আলোকে স্বপ্না আক্তার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতাল পাঠিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট পাওয়ার পলর আরও তথ্য জানা যাবে।