ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃ”ত্যু রহস্যে ঘেরা। কেউ বলছেন আত্মহনন, কেউ বলে হ”ত্যা। এদিকে হিমুর মৃত্যুর পরপরই হিমুর বন্ধু রাফি ফোন নিয়ে পলায়ন করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
হিমুর মৃ”ত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন অভিনেত্রীর খালা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যতটুকু জানি বিগো অ্যাপ থেকেই ছেলেটির সঙ্গে পরিচয় হয় হিমুর। ওর বিগোর একটা ভালো টপ সেন্ডার ছিল। আমি ওকে বলেছিলাম যে, বিগোতে তুমি লাইভ কর, তারা তোমার সাপোর্টার এই পর্যন্তই তুমি থাক, বিয়ে পর্যন্ত যেয়ো না। ৪/৫ দিন আগে এতটুকু কথাই ওর সঙ্গে আমার হয়েছিল।
হিমুর খালা বলেন, আমি আজ এখানে এসে জানতে পারলাম রাফির নাম্বারটাও ব্লক করেছে। আমি সত্যিই এত কিছু জানি না. দুপুর ২/৩টার দিকে ছেলেটি হিমুর বাসায় যায় এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেখানে থাকে। তবে স্পটে মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরও ছিলেন। সেখানে আসলে কী ঘটেছিল তিনি আরও ভাল বলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সম্ভবত রুফির আইডির নাম জিয়া উদ্দিন রুফি। মিহির ও রুফি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ছেলেটি হিমুর ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, মৃ”ত্যুর সময় হিমুর বাড়িতে মেকআপ আর্টিস্ট মিহির ও হিমুর বন্ধু রুফি উপস্থিত ছিলেন। মূলত তারা হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অভিনেত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখেই ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় রুফি।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাদ জুম্মা চ্যানেল আই চত্বরে ময়নাতদন্ত শেষে হিমুর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা রওনক হাসান। জানাজা শেষে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে জানান তিনি। এরপর তাকে লক্ষ্মীপুরে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা’রা যান ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমাইরা হিমু। ফ্যানের হ্যাঙ্গারে গলায় দড়ি দিয়ে মারা যাওয়ার পর তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।