অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উজিরে খামোখা হয়ে গেছেন মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিল, ২০২৩’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার বলেছেন, সংসদের শেষ দুই দিনেও অর্থমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। তার মন্ত্রণালয়ে একটি আইন আসছে ওনার মন্ত্রণালয়ের, হি ইজ আ মিনিস্টার মিসিং অ্যাকশন। ইকোনমিক ক্রাইসিস চলছে। প্রচুর আলোচনা হচ্ছে, ওনাকে দেখা যাচ্ছে না। উনি উজিরে খামোখা হয়ে গেছেন। স্বেচ্ছায় উজিরে খামোখা। দপ্তরবিহীন মন্ত্রীর মতো আছেন, এটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কোথায় আছে সেটাও জানি না।
তিনি বলেন, দেশে অর্থনীতিবিদদের অভাব নেই। দেশের অর্থনৈতিক সংকট মেটাতে পারে এমন লোকের অভাব নেই। আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ উনি দ্বিগুণ চাপ নিচ্ছেন। আমাদের আশঙ্কা, ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে ডলারে আরও এক থেকে দেড় বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তার মানে ২০২৬ সালে বার্ষিক ডলারের চাহিদা কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন যোগ হবে শুধুমাত্র ঋণ পরিষেবার জন্য।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের বহুমুখী পররাষ্ট্রনীতি থাকা উচিত। কিন্তু এখন থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে যে ডলারের প্রয়োজন হবে আমরা কোথায় পাব? এর উত্তর অর্থমন্ত্রী দিতে পারতেন। এতগুলো ডলার জমেছে বিভিন্ন ভুল চুক্তি, ভুল বিনিয়োগ ও ভুল ঋণের কারণে। ভুল ঋণ কেন হয়েছে, কারণ তখন সংসদে এগুলো নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়নি। আলোচনা হলে সরকার কিছু বিষয় পুনর্বিবেচনা করবে। আমি মনে করি এগুলো নিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সারাজীবন রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলা করেছে, ভালোভাবেই করেছে। হয়তো এখনো পারে। কিন্তু অর্থনীতি একার সরকারের হাতে নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা যে ঋণে পতিত হচ্ছি তা নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য দরকার সমন্বিত আলোচনা।