প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ভারতের অর্থায়নে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করার সময় মোদি এসব মন্তব্য করেন।
নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে দুই দেশের সরকারপ্রধানরা তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত যে বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিনিয়ত নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে। এমনকি গত ৯ বছরে উভয় দেশ একসঙ্গে যে কাজ করেছে তা আগের দশকে হয়নি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সীমান্তে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটি কয়েক দশক ধরে ঝুলে ছিল। আমরা সামুদ্রিক সীমানা বিরোধও মীমাংসা করেছি। ঢাকা, শিলং, আগরতলা, গুয়াহাটি এবং কলকাতা গত ৯ বছরে ৩টি নতুন ট্রেন পরিষেবা চালু করে সংযুক্ত হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘গত ৯ বছরে তিনটি নতুন ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্সেল এবং কন্টেইনার ট্রেনও চলছে। গঙ্গা বিলাস নামে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ চালু করার মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে আরও যৌথ উদ্যোগ হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে দেশের উন্নতি হয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
আজ উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো হলো আখাউড়া-আগরতলা ক্রস বর্ডার রেল সংযোগ, খুলনা-মংলা বন্দর রেল লাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।