যশোরের চৌগাছা উপজেলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীর ‘শিশু বিক্রির টাকায় ভাগ বসানোর’ অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করে ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে পুলিশ।।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, চৌগাছা থানার এসআই শামীম হোসেন ও সৈয়দ আশিকুর রহমানকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলার এক নারী তার সদ্য প্রসব করা শিশুকে বিক্রি করে দিয়েছে।এসআই শামীম ও আশিকুরের বিরুদ্ধে ওই নারীকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় দুজনকে ডেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
শিশু বিক্রির ঘটনা ঘটেছে চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আন্দুলিয়া গ্রামে।
সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহিদুল ইসলাম বলেন, “এক বছর আগে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে বিএসএফের হাতে গ্রেফতার হয়। বর্তমানে সে ভারতের জেলে রয়েছে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং সন্তান সম্ভবা হন। কিন্তু ওই যুবক তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
এরপর ওই নারী তার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে উপজেলার পুরাপাড়া বাজারে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।এ অবস্থায় গত ২ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসব করেন।
ইউপি সদস্য আরও বলেন, “সন্তানটি তিনি উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামের এক ব্যক্তির কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর ২৪ অক্টোবর বৈঠক ডেকে ওই নারীর সঙ্গে যুবকের বিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি ৪ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেন। টাকার বিনিময়ে শিশুকে কেনা-বেচা করা হয়নি। তাদের সাময়িক খরচের জন্য কিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল।
ওই নারী ও তার নববিবাহিত স্বামী জানান, এসব ঘটনা জানতে পেরে চৌগাছা থানার এসআই শামীম তাদের কাছে আসেন এবং মামলার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে ওই নারী বলেন, শিশু বিক্রির জন্য পুলিশ আমাদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে।
চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন। এরপর তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।
তবে এসআই শামীম হোসেন ও সৈয়দ আশিকুর রহমান দাবি করেন, মিথ্যা অভিযোগে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে।