Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সমাবেশে যুবদল নেতার প্রয়ান নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমাবেশে যুবদল নেতার প্রয়ান নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সাধারণ সভা চলাকালে পুলিশের গুলিতে শামীম মোল্লা নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। তবে নিহত শামীম মোল্লার পরিবারের দাবি, পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়নি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) শামীম মোল্লার পরিবারের দাবি, শামীম মোল্লার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। এমনকি যুবদলের রাজনীতিতে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে পরিবার কিছুই জানে না।

শামীমের মৃ”ত্যুর বিষয়ে তার বাবা বলেন, তার ছেলে স্ট্রোক করে মা”রা গেছে।

তবে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, নিহত শামীম মোল্লা মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের ১নং ইউনিটের সভাপতি ছিলেন।

বিএনপি নিজেদের কর্মী দাবি করা নিহত শামীমের বাবা ইউসুফ মিয়ার সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তিনি জানান, গেলে ১৬ বছর ধরে তার ছেলে ঢাকায় এক চিকিৎসকের গাড়ি চালান। শনিবারও সে ডিউটিতে যায়, কিন্তু মালিক গাড়ি না বের করায় ফেরত আসে সে। তার ছেলের বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য তিনি জানেন না।

ইউসুফ মিয়া বলেন, ড. লিলেনের কাছে আমার ছেলে ১৮ বছর ধরে চাকরি করে। আমরা যেখানে টাকা উপার্জন করতে পারি সেখানে যাই। আমার একটি মুদির দোকান আছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডিউটি করি। আমি আমার ছেলের মরদেহ দেখছি। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। আমি নাভি পর্যন্ত চেক করেছি। কোনো ক্ষতের চিহ্ন নেই।

নিহ”ত শামীমের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ সুমন জানান, শামীমের শরীরে কোনো গু”লির চিহ্ন নেই। ধাওয়া খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আর উঠতে পারেননি। সাধারণ মানুষ তাকে পিষে ফেলে। পরে তিনি স্ট্রোক করে মা’রা যান। তার শরীরে কোনো গু”লির চিহ্ন ছিল না।

তার বাবা জানান, খবর পেয়ে তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে এসে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। আমার ছেলের শরীরে কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখিনি, একটা গু’লি তো দূরে থাকুক।

এদিকে গতকাল রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও একই কথা বলছে। তারা জানান, শামীমের শরীরে কোনো আঘাত বা গুলির চিহ্ন নেই। তারা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শামীম মিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে মহাসমাবেশের নামে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের রাজনীতি শুরু করে বিএনপি। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি সাধারণ মানুষ, পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীও। এদিন বিএনপির হামলায় মারা যান এক পুলিশ সদস্য।

প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে এ হামলা চালানো হয়। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

হামলার পর সন্ধ্যায় বিএনপি তাদের ফেসবুক পেজে শামীম মিয়াকে দলের যুব শাখার সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়।

About bisso Jit

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *