বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে সং/ঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার দায় বিএনপির ওপর একক ভাবে দেওয়া চেষ্টা করছে সরকার।অথচ প্রকৃত ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তারা প্রকাশ করছে না।শুধু তাই নয় ঘটনার মূল কারণ জানাতে পারিনি পুলিশ। তবে সং/ঘর্ষের নেপথ্যে কারা ছিল বা এই ঘটনাটিতে কি ঘটেছিল সেটি এখনো ধোঁয়াশা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
২৮ অক্টোবরের ঘটনাবলী নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
ক) কারা একজন পুলিশকে হ/ত্যা করলো? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন জনৈক ছাত্রদল নেতা তাকে মাথায় চাপাতি দিয়ে আঘাত করতে করতে হ/ত্যা করেছে। এর কোনো ছবি বা ফুটেজ আছে কি? অন্য পুলিশরা তখন কি করছিলেন? নিহত পুলিশ ভাইটি কি হেলমেট পরা ছিলেন না তখন?
খ) যুবদল নেতাকে কে হ/ত্যা করেছে, কিভাবে তিনি মারা গেছেন?
গ) কারা সং/ঘর্ষ শুরু করেছে? কারো ইন্ধন ছিল কি?
ঘ) প্রধান বিচারপতির বাসার ফটক আক্রমণকালে পুলিশ কোথায় ছিল? এমনিতেই তো সেখানে অনেক পুলিশ থাকার কথা। প্রথমেই তারা কি আ/ক্রমণকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন? উনার বাসভবনের ভেতর কেউ আগেই অনুপ্রবেশ করে ছিল কি?
ঙ) হেফাজতের উপর আ/ক্রমণের বহু বছর পর সম্ভবত আজই প্রথম বিএনপি’র সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বিকট শব্দের সাউন্ড গ্রে/নেড ব্যবহার করেছে পুলিশ। এর কি কোনো প্রয়োজন ছিল? এটা কি সমানুপাতিক বল প্রয়োগের নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ?
চ) লাঠি আর বৈঠা বহনকারী যুবকদের গ্রেফতারের কোনো চেষ্টা করেছে কি পুলিশ? এগুলো বহনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেটা কি বলবৎ করার চেষ্টা করা হয়েছিল?
ছ) বাসে আ/গুন কারা দিল? এক পক্ষ, নাকি দুপক্ষই? কারা সেই পক্ষ? ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনে পুলিশের ভেস্ট পরা লোকেরা বাসে আ/গুন দিয়েছে বলা হয়েছে। এরা কারা?
জ) শাপলা চত্বরের মতো ঘটনা ঘটানোর হু/মকি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। শাপলা চত্বরের মতোই বিএনপি’র সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, সাউন্ড গ্রে/নেড ব্যবহার করা হয়েছিল এবং আকস্মিক পুুলিশী হামলা করে সমাবেশস্থল খালি করে দেয়া হয়েছিল। পুলিশ কি এখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো কাজ করেছে, নাকি সরকার দলীয় ইচ্ছের বাস্তবায়ন করেছে?
আমি সব ধরনের সং/ঘাতের নিন্দা জানাই। জানতে চাই ঠিক কী ঘটেছিল। সাংবাদিক ভাইরা আপনাদের কাছে অনুরোধ নিরপেক্ষভাবে সত্যকে তুলে ধরুন। যারা মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করেন এটা তাদের পবিত্র দায়িত্ব।