বাপ্পারাজকে বলা হয় বাংলা সিনেমার ‘ট্র্যাজিক হিরো’। বেশ কয়েকটি সিনেমায় ব্যর্থ প্রেমিকের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। আজও ত্রিভুজ প্রেম বা আত্মত্যাগের গল্প অবলম্বনে নির্মিত সিনেমার কারণে এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়। এমন চরিত্রে তাকে আরও দেখতে চান চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। বিষয়টিকে একজন অভিনেতার উপযোগিতা বা সার্থকতা বলেও মনে করেন বাপ্পা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় অরুণা বিশ্বাস পরিচালিত অরুণা বিশ্বাসের ছবি ‘অসম্ভব’-এর মুক্তির সংবাদ সম্মেলনের পর হাসিমুখে বাপ্পারাজ বলেন, আমি যদি একশোটি সিনেমা করে থাকি তাহলে হয়তো আট-দশটি ছবিতে এমন চরিত্রে অভিনয় করেছি। হয়তো এ ধরনের চরিত্রে আমার অভিনয় দর্শকদের ভালো লাগবে, এটা দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। যার কারণে আমি ব্যর্থ প্রেমের সফল নায়ক হয়ে মানুষের হৃদয়ে রয়েছি।
১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চাঁপাডাঙ্গার বউ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিন দশকেরও বেশি সময় ব্যাপ্ত ক্যারিয়ারে বাপ্পারাজ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। যার বেশিরভাগই সফল ব্যবসা। বাপ্পারাজকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘পোড়ামন ২’ ছবিতে। সব সিনেমায় বার্থ প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমনটা নয়।
বাপ্পারাজ বলেন, ‘অনেকে মনে করেন আমার সব সিনেমাই এমন। কিন্তু না আমি অনেক অ্যাকশন, পারিবারিক ছবিও করেছি। তবে হ্যাঁ, সেই চরিত্রগুলো হয়তো দর্শকের মনে রয়ে গেছে কারণ তারা সেগুলো ভালোভাবে করতে পেরেছে। সেসব গান বা সংলাপ এখন ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এগুলো দেখে আমার ভালো লাগে। যে অভিনেতা মানুষের মনের মধ্যে কাজ দিয়ে যেতে পারবে সে আসলে তার স্থানে সফল হয়ে যায়।’
এখন তিনি অভিনয়ে নিয়মিত নন। পরিবার এবং ব্যবসার সাথে বেশি সময় কাটান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে সিনেমাগুলো আমার কাছে আসে একই চরিত্রের! একই চরিত্রে বারবার অভিনয় করা মজার নয়। আমার বয়স হয়েছে, তাই কিছু ভারী চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। এখন এফডিসির বাইরে ভালো সিনেমা হচ্ছে। কথাটা আরও পাঁচ বছর আগে বলেছিলাম। মিডিয়ার পরিচালকরা ভালো করছেন। তারা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলছেন। এফডিসির সিনেমাটোগ্রাফি, প্রযোজনা, নির্মান ও কনসেপ্ট সব দিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছে।