বুধবার রাতে গুলশানের বাসভবনে নৈশভোজে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। নৈশভোজে বিএনপির অনেক নেতা অংশ নিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ওই নৈশভোজের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দেয়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবিলি বলেন, ‘বুধবার একটি নৈশভোজে রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কৃষি অ্যাটাশে এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নৈশভোজের আয়োজন করেছিল মার্কিন কোম্পানি ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ গ্রেইনস, একটি অনুমোদিত কার্গিল পরিবেশক। সেখানে বেসরকারি খাতের কৃষি ব্যবসার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র গত বছর বাংলাদেশে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি কৃষি পণ্য রপ্তানি করেছে। কৃষি ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সয়াবিন, গম, তুলাসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করতে চায়, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।
মার্কিন দূতাবাস আরও বলেছে, “বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এবং কৃষি অ্যাটাশে ঋণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং রপ্তানি বাড়াতে কৃষি ব্যবসার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন।”
প্রসঙ্গত, বুধবার গুলশানে তার বাসায় একটি বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যানের উদ্যোগে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই ব্যবসায়ীর বাসায় যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
সূত্র জানায়, পিটার হাসের সঙ্গে নৈশভোজে রাজনীতিবিদ ছাড়াও গণমাধ্যম সম্পাদক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন ব্যাংক ও বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কর্মসূচি। এই ডিনার চলে সাড়ে সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সরকারের একজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের তরুণ সংসদ সদস্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান-অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বরকতুল্লাহ বুলু ও আবদুল আউয়াল মিন্টু, তাবিথ আউয়াল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুল হক। মিটিং