কিছুদিন আগে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিয়ে তার দ্বিতীয় বিয়ে ঘিরে জোর আলোচনা হয়। আর বিয়ে করবেন না এমন কোনো ইঙ্গিত দেননি এই অভিনেত্রী।
সেই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস ভবিষ্যতে আবার বিয়ে করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। নায়িকা আবার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম বিয়েটা আমি ভেবে করিনি। তবে দ্বিতীয় বিয়ের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ভেবে করতে চাই।’
অপু বিশ্বাসের কথায়, যখন কোনো মেয়ে ভাবে, সে ফের বিয়ে করবে এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। এমন অবস্থায় ওই মেয়েটা হয়তো সুখী হবে, সে একজন নতুন জীবনসঙ্গী পাবে কিন্তু সন্তান একজন অন্য মানুষকে পাবে। যে তার বাবা নয়, বা যার সঙ্গে তার কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। ফলে সে কিন্তু সুখী হবে না।’
এরপর অপু বলেন, তাই এমন পদক্ষেপে আমি খুশি হতে পারি, কিন্তু আমার সন্তান খুশি হবে না।
তাহলে কেন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করবেন না ঢালিউডের জনপ্রিয় এই নায়িকা? অপু সাবলীল ভাষায় কোনো উত্তর দেননি। তবে সন্তানের ‘সুখ’কেই বেশি প্রাধান্য দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপুর কথায়, ‘কার সুখকে বেশি প্রাধান্য দেব? সেটা যদি হয় আমার সন্তান এবং সে যখন জানে, এটাই তার বাবা-মা। হয়তো তারা একই ছাদের নিচে থাকছেন না, কিন্তু পরিবার একটাই। বাবা হিসেবেও অন্য কাউকে দেখতে হচ্ছে না। এই বিষয়গুলোই আমি এখন সবচেয়ে বেশি ভাবি।’
তবে অপু যে এখনও শাকিবকে নিয়ে ভাবেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল সম্প্রতি দেওয়া কিছু বক্তব্যে। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জীবনে নতুন জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন নেই। কারণ সেখানে সাকিব আছে।
তার মানে কী, শাকিবকে এখনও স্বামী মনে করেন অপু বিশ্বাস? যদিও প্রশ্ন ছিল ভিন্ন। কন্ডাক্টর অপুকে জিজ্ঞেস করে, জীবন এভাবে একা চলবে না। কখনো কি জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন? এর জবাবে অপু বলেন, শাকিব যেভাবে জেতার কথা চিন্তা করেন, আমার মনে হয় অন্য কাউকে কেন দরকার?
এ সময় নায়িকাকে থামিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, জয়ের জন্য আমার দরকার নেই। কিন্তু অপুর জন্য? জবাবে একই জবাব দিলেন সাকিবের সাবেক স্ত্রী। এটা আমার জন্য একই. আমি যখন লাল শাড়িতে কাজ করি তখন শাকিবের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছি। শুটিং স্পটে সাহায্যও পেয়েছি। তার পরেও কেন?’
অতীত সম্পর্কে কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, অতীতের কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। আমার কাছে সবকিছু স্বাভাবিক। আমার বন্ধু আছে, তোমার আছে। এত কিছুর পরেও নতুন কাউকে কেন দরকার?
অপু বিশ্বাস তার কথায় স্পষ্ট, ব্রেকআপ বা বর্তমান সম্পর্ক যাই হোক না কেন – তিনি এখনও জয়ের বাবাকে তার জীবনে অগ্রাধিকার দেন। যার কারণে জীবনসঙ্গী হয়েও নতুন কাউকে নিয়ে ভাবতে পারেন না।
এর আগে অপু তার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বলেছিলেন, ‘একটি মেয়ে যখন মনে করে, সে আবার বিয়ে করবে এবং সন্তান হবে। এমন পরিস্থিতিতে যে মেয়েটি সুখী হতে পারে, সে নতুন জীবনসঙ্গী পাবে; কিন্তু শিশুটি অন্য একজন মানুষকে খুঁজে পাবে। কে তার বাবা নয় বা যার সাথে তার কোন রক্তের সম্পর্ক নেই। ফলে সে খুশি হবে না। তাই হয়তো এমন পদক্ষেপে আমি খুশি হব, কিন্তু আমার সন্তান খুশি হবে না।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। বিয়ের প্রায় ৮ বছর পর ২০১৬ সালে কলকাতায় প্রথম সন্তানের জন্ম দেন অপু। যদিও বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখা হয়েছিল। , অভিনেত্রী পরের বছর তার ছেলের সাথে টিভি চ্যানেলে হাজির হন। শাকিব খানের সঙ্গে নিজের বিয়ে ও সংসার নিয়ে ড. নানা নাটকীয়তার পর ২০১৮ সালে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন এই জুটি।এর পর থেকেই মায়ের কাছে বড় হয়েছেন শাকিব-অপুর ছেলে আব্রাম খান জয়।