কামাল মহলদার নামের একজন চায়ের দোকানদারের ভাগ্য বদলে গিয়েছে অনেকটা রা’তারাতি। ৩৫ বছর বয়সী এই যুবকের রয়েছে শুধু মাত্র একটি চায়ের দোকান। তিনি ওই দোকানে বিভিন্ন জায়গা থেকে লটারির টিকিট কিনে এনে সেগুলো বিক্রি করেন। দোকানে তার কিছু টিকিট অবিক্রিত থেকে যায় আর সেই টিকিট খুলে দিয়েছে তার ভাগ্য। তিনি তার সেই অবিক্রিত টিকিটেই পেয়ে গেলেন এক কোটি টাকা! গত সোমবার অর্থাৎ ২ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদায় এমন ভাগ্য বদলে যাওয়া ঘটনা ঘটেছে।
কমলের ১২০ টাকার টিকেট সেদিন বিকেলে অবিক্রিত থেকে যায়। সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে তিনি জানতে পারলেন যে তিনি তার একটি অবিক্রিত টিকিটে এক কোটি টাকা জিতেছেন। এরপর কমল কোনো ঝুঁকি ছাড়াই লটারির টিকিট নিয়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থা’/নায় গিয়ে হাজির হন। আর কমলকে দেখতে থা’/নায় ভিড় করে ঐ এলাকার মানুষ।
কমলের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা হাটখোলা এলাকায়। বাড়িতে স্ত্রী, দুই সন্তান ও বয়স্ক বাবা-মা আছেন। মা নির্মলা মহলদার কুশিদা বাজারে সবজি বিক্রেতা। লটারির টাকা পেয়ে দুই সন্তানের জন্য ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কমল বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে টিকিট কাটতাম। এত টাকা পাব কোনোদিন ভাবিনি। আপাতত টাকা পেয়ে আমি ঋণ শোধ করব, সন্তানদের নামে রাখব কিছু টাকা। আর বাড়ি ঠিক করব দ্রুত।’
কমলের মা বলেন, ‘আমার ছেলে ঝালমুড়ি বিক্রি করতো। তারপর চায়ের দোকান দেয়। মাঝে মাঝে লটারির টিকিট কিনে বিভিন্ন জায়গায় টিকিট বিক্রি করতো। আজ তার ভাগ্য বদলে গেছে। আমি থা’/নায় এসেছি যাতে নিরাপত্তার অভাব না হয়। ‘
এ ব্যাপারে সঞ্জয় কুমার দাস যিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে একটি লটারির টিকিট নিয়ে থা’/নায় হাজির হয় কমল মহলদার নামে কুশিদার নামক এলাকার একজন বাসিন্দা। আমরা তার সকল ধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।” কমল লটারীতে এক কোটি টাকা পাওয়ার পর অনেক খুশি এবং সে জানায় তার পরিবারের জন্য কিছু করবেন। এরপর তার আশেপাশের দরিদ্র মানুষকে সহয়তা করতে চান।
খবর আনন্দবাজারের।