আওয়ামী লীগে ফিরেছেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। গাজীপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর আবারো দল থেকে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ ক্ষমার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অনুগ্রহ করে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতোপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমাপ্রার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই সূত্রে আপনার প্রতিও ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো। উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
’
উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে যে কোনো সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
‘
চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “প্রিয় নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাকে ক্ষমা করেছেন। ক্ষমার জন্য আমি দলীয় প্রধান ও আওয়ামী লীগকে বিনীতভাবে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি গাজীপুর মহানগরী এখন থেকে প্রাণ ফিরে পাবে। দলীয় কার্যক্রম বেগবান হবে।
‘
এর আগে গাজীপুর সিটির মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করায় জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিছুদিন পর তাঁকে ক্ষমা করা হয়। ২০২৩ সালের গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চাননি। এরপর তার মা জায়েদা খাতুন তার মায়ের পক্ষে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।
এ কারণে তাকে আবারও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে মায়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।