ধর্ষণের মামলায় নির্দোষ দাবি করে এক যুবকের দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট কিশোর ছেলে ও মেয়েদের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এই সুপারিশগুলি বয়ঃসন্ধিকালের যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং বিপরীত লিঙ্গের কিশোর-কিশোরীদের মর্যাদা এবং শারীরিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মানের আহ্বান জানায়।
শুক্রবার এনডিটিভি সহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নির্দোষ দাবি করা যুবকের একটি মেয়ের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ ছিল। সম্পর্কে থাকা অবস্থায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে যুবককে গত বছর টো বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ওই যুবকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিচারক চিত্তরঞ্জন দাস ও পার্থসারথি সেনের কলকাতা হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেন। কারণ আবেদনের শুনানির সময় কিশোরীটি আদালতকে জানায় যে সে তার নিজের ইচ্ছায় সম্পর্কে ছিল এবং পরে তারা বিয়ে করে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনতার ক্ষেত্রে ভারতীয় ‘পকসো ধারা’ প্রয়োগের ফলে তৈরি আইনি জটিলতা এড়াতে শিক্ষা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারপতি চিত্ত রঞ্জন দাস এবং পার্থ সারথি সেন স্কুলগুলিতে বৃহত্তর যৌন শিক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় বিচারক দ্বয় কিশোরীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন এবং দুই মিনিটের আনন্দের কাছে কিশোরীদের নতি স্বীকার না করার আহ্বান জানান।
বেঞ্চ বলেছে যে তরুণ মেয়েদের শারীরিক অখণ্ডতা, মর্যাদা এবং আত্মসম্মানের অধিকার রক্ষা করা তাদের কর্তব্য। অন্যদিকে, একজন কিশোরের কর্তব্য হল একটি অল্পবয়সী মেয়ের উপরোক্ত কর্তব্যকে সম্মান করা।