নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেভিন ডুগিয়ান এবং লয়েড স্কুইপকে সমন জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর আদালত ৩০শে অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সমন জারি করেন।
এদিন খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা আদালতে হাজির হন। এরপর মামলার বাদীকে জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে বিদেশি সাক্ষী হিসেবে হাজির করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিন বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দেন আদালত।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি দুর্নীতির মামলা করেন। . ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। এরপর ১৯শে মার্চ আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর মো. মইনুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশন মো. চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাআইকোর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর সাউথ এশিয়া কাশেম শরীফ।
এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব ড. শফিউর রহমান মা”রা যাওয়ায় তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পান।