বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। প্রতিবছরেই বিভিন্ন মৌসুমে নানা ধরনের কৃষিজ পন্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। তবে এই খাতের প্রযুক্তির ব্যব হারে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে। তবে বাংলাদেশ এই খাতের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছে। এবং এই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ।
কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিগত ও পরিচালনা বিষয়ে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্য এলেও রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের অর্থের অভাব নেই, প্রয়োজন কারিগরি ও ম্যানেজারিয়াল সহযোগিতা। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সাপোর্ট আমরা চাচ্ছি। তিনি আমাদের বলেছেন, কারিগরি ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা তারা দেবেন। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাই। ফান্ডিং সাপোর্ট এখন চাচ্ছি না। আমাদের ফান্ড আছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বাংলাদেশকে কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, কৃষিতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাজ্যের প্রাইভেট সেক্টরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। তবে এই খাতের আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নত দেশ গুলোর সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। এবং অনেক দেশের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার লক্ষ্যে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ।