সিদ্ধান্তে স্থির আ.লীগ, কবে থেকে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে জানালো বিএনপি

সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে ঢাকায় জনসভা করবে বিএনপি। নয়াপল্টনের সমাবেশে পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হবে। ২৪ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। দাবি না মানা হলে ২৮ অক্টোবর থেকে গণসমাবেশের মাধ্যমে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। আজ সকালে বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। বিএনপির দক্ষিণাঞ্চলের আহ্বায়ক আবদুস সালাম জানান, ইতোমধ্যে তাদের ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে। এতে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আসতে পারে দুর্গাপূজা শেষে মহাসমাবেশসহ আরও অনেক কর্মসূচি। তপশিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েই এগিয়ে যেতে চায় দলটি। এতেও সরকার কর্ণপাত না করলে তপশিলের পর লাগাতার ঘেরাও, অবস্থান, অবরোধেরে মতো কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

জানা গেছে, আগামী ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার কোনো কর্মসূচি পালন করবে না বিএনপি। আজ থেকে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির নেতারা। আন্দোলনের এ পর্বে মাস শেষে ঢাকায় গণসমাবেশের মাধ্যমে ধারাবাহিক আন্দোলনে নামতে চায় দলটি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে। এরপর আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের শীর্ষ নেতাদের।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলনে যেতে চান বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতারা। এবারের কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। পুজোর পর ২৭ বা ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হতে পারে এমন তফসিল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তফসিল ঘোষণা করা হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বেশির ভাগ কর্মসূচি হবে ঢাকাকেন্দ্রিক। শুরুতে মহাসমাবেশের মতো কর্মসূচি দিয়ে এ কর্মসূচি আরম্ভ করা হবে। তবে শেষ ধাপে তা অবরোধ আন্দোলনে পরিণত হবে। এর মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ঘেরাওয়ের প্রস্তাব রয়েছে।