দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা কমেছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর যা ছিল ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সূত্র অনুযায়ী গণনা করা হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে, রাশিয়া ইউক্রেন আ/ক্রমণ শুরু করে। এতে বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে আমদানি ব্যয়ও বেড়ে যায়। এরপর থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে।
আইএমএফের নথি অনুযায়ী, চলতি হিসাবের ঘাটতির সাময়িক উন্নতি হয়েছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া ম/হামারীর সময়ে বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে, দেশের মোট রিজার্ভ রেকর্ড ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
পরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বিঘ্নিত হচ্ছে সরবরাহ ব্যবস্থা। বৈদেশিক চাহিদার মন্দা রয়েছে। একই সময়ে, বৈধ চ্যানেলগুলিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে। ফলে রিজার্ভ দ্রুত কমতে থাকে। ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে, মোট রিজার্ভ কমে ৩৩ দশমিক ৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পরে ঘাটতি মেটাতে আইএমএফ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় বাংলাদেশ। যার শর্তগুলির মধ্যে একটি ছিল যে বৈশ্বিক পাওনাদার গোষ্ঠীকে ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুযায়ী অর্থপ্রদানের ভারসাম্য এবং রিজার্ভ গণনা করতে হবে।
অবশেষে চলতি বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে দেশের রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফ সূত্রে। এরপর থেকে তারা নিয়মিত রিপোর্ট করে আসছেন।