বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘দল বা অন্য কারো জন্য নয়, শেখ হাসিনার ক্ষমতা তার ছেলে ও মেয়ের জন্য ধরে রাখা দরকার।’ শেখ হাসিনার ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির এই নেতা।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের একটি হোটেলে ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসেনের বিএনপিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ হাসিনা এত অত্যা”চার না করলে বিএনপি এত শক্তিশালী হতো না। আওয়ামী লীগ যতদিন থাকবে, বিএনপি তত শক্তিশালী হবে। যেখানে তারা ব্যর্থ, সেখানে বিএনপি সফল। বিএনপি ধ্বংস হয়নি, হবেও না কোনো দিন। শেখ হাসিনার দুঃশাসনের কারণেই বিএনপি শক্তিশালী হয়েছে।
মানুষের জ্বর হলে আবোল-তাবোল বলে। আওয়ামী লীগেরও একই অবস্থা, তারা এখন বিএনপির সাফল্য দেখে প্রলাপ করছে।’
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে যা মন চায় তা লেখা কারো পক্ষে সম্ভব না। সংবাদমাধ্যমের সেই স্বাধীনতা নেই সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লেখার। শুধু লিখতে পারবেন আমাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে।’
গয়েশ্বর সাগর-রুনি হ”ত্যা ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন। সাগর-রুনি হ”ত্যার পর ল্যাপটপ গায়েব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাগর-রুনি হ”ত্যার সঙ্গে এই সরকারের কেউ না কেউ জড়িত। তাই বাংলাদেশে এই হ”ত্যাকান্ডের বিচার হচ্ছে না। খু”ন করে ল্যাপটপ নিয়ে গেছে খু”নিরা। কি ছিলো সেই ল্যাপটপে, তার কোন হদিস সরকার দিতে পারছে না।’
জনগণ শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্ধকারের সময় খুব কম, জনগণ শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে। যারা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করছে তারা খুব শিগগিরই ফল পাবে। তাই এক পক্ষের আন্দোলন বাস্তবায়নে আগামী এক মাস সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মনে করেন দেশ তার বাবার, আর আমরা মনে করি দেশ জনগণের। যেখানে প্রযোজ্য সেখানে করা উচিত। সরকার যখন অবৈধভাবে প্রশাসনকে ব্যবহার করে গুলি চালায়, তখন তা প্রতিরোধ করা আমাদের কর্তব্য। তাই লড়াই হবে। হাইকমান্ড কোনো অজুহাতে শুনবে না। যখনই ডাক আসে, যত কঠিন কর্মসূচিই আসুক না কেন, সফল হওয়ার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামতে হবে।