নির্বাচন সামনে রেখে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা আবারও ক্ষমতায় আসারা জন্য ১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছেন।কিন্তু এবার সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্দেশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বন্ধুদেশ গুলো চাপ দিচ্ছে সরকারকে। শুধু তাই নয় সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শুরু ঘোষনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ নামক ছোট্র দেশটা চলে মোটামুটি ৩ ডা আলাদা আলাদা কর্মের জায়গার উপর নির্ভর করে।কি সেই তিনডা জায়গা আমরা সবাই জানি। এক কৃষিখাত, দুই প্রবাসী আয় বা বিদেশ থেকে প্রবাসী ভাইদের পাঠানো টাকা আর তিন গার্মেন্টস শিল্প তাইতো? বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ ঘরের থেইকাই কেউ না কেউ এই তিনডার যে কোন একটার সাথে জড়িত। তার মধ্যে গার্মেন্টসের সাথে একদম সরাসরি যুক্ত আছে কতগুলি মানুষ জানেন? ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ। আর এই ৪০ লাখের বেশি মানুষের করা ইনকামের টাকায় চলে দেশের এক একটা পরিবার। মানে প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে ২ কোটির মত মানুষের মুখে খাবার জোটে এই পোশাক শিল্পের আয় থেইকা। অর্থাৎ জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৬৪ লাখ ধরলে হিসাব মতে প্রতি ১৭ জনে প্রায় ২ জন মানুষের খাদ্যের বন্দবস্ত হয় এই গার্মেন্টস থেইকা আয় করা টাকায়। এখন তাইলে চিন্তা করেন দেশের মোট কতগুলি মানুষের রুটিরুজির বন্দোবস্ত হয় এই গার্মেন্টেসের উসিলায়।
আমরা বাংলাদেশ থেইকা বিদেশে মাছ, চামড়া সহ আরও যতকিছু রপ্তানি করি বা বেচি তার মোট আয়ের প্রায় ৮৫ ভাগই আসে এই গার্মেন্টস থেইকা। ২০২২ সালে যেইডা ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলারের একটু উপরে। আর এই অর্থবছরে যেইডা ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াই ৪৭-এর কাছাকাছি যাবে বলে হিসেবে আসছে। যা গত বছরের থেকে শতকরা ১০.২৭ ভাগ বেশি। অবশ্য এখন আর সেইটা সম্ভব হবে কিনা আমি জানিনা। কেন সম্ভব হিবেনা?