রাজধানী ঢাকা অবরোধ করলে বিএনপির পরিণতি শাপলা চত্বরের চেয়েও খারাপ হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরাও প্রস্তুত আছি, অবরোধ করলে বিএনপি অবরোধ হয়ে যাবে। লুকিয়ে, চুরি করে ঢুকছ? এরপরে পালাবার পথ পাবে না।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবলীগের সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
২০১৩ সালের ৫ মে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শাপলা চত্বরে থেকে কী হলো শেষরাতে? পালিয়ে গেল না? আমি বলতে চাই না, আরো করুণ পরিণতি হবে বিএনপির। শেখ হাসিনা মাথা নত করে না, আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’
বিএনপিকে কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে, ছাড় দেব না ফখরুল। ডিসেম্বরের চেয়েও কড়া খেলা হবে। আওয়ামী লীগের অ্যাকশন, যুবলীগের অ্যাকশন, সরাসরি অ্যাকশন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চুরি করে এসে ঢাকায় আত্মীয়স্বজনের বাসায়, অতিরিক্ত কাপড় আনতে বলেছেন ফখরুল। তখন আমরা কি ললিপপ খাব?’
১৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগের সমাবেশে বিশাল জনসমাবেশের নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘১৮ তারিখ আরো বেশি করে আসতে হবে। আন্দোলনের নতুন যাত্রা শুরু করব, আন্দোলনের মিছিল নিয়ে যাব বিজয়ের বন্দরে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন বিএনপিকে আন্দোলনে সাহস দিচ্ছে? আমরা এটা জানি না, এ খবর হাছা না মিছা? মিথ্যা কথা আর কত বলবা ফখরুল?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, “পশ্চিমা বিশ্ব থেকে যারা বাংলাদেশে এসেছে, যারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা বিদেশে কথা বলেছে, তারা বলেছে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এ কথা আমেরিকাও বলেছে, এ কথা ইউরোপও বলেছে। ফখরুল কোথা থেকে মিছা, আজগুবি খবর নিয়ে আসল?’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল বিদেশ থেকে সাহস পাচ্ছেন, বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে আমরা সাহস পাচ্ছি। আমরা কাউকে ভয় পাই না।
যতদিন মানুষ একসাথে থাকবে ততদিন ভয় নেই। বিদেশি জরিপে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী।