নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের দিনটি দুশ্চিন্তা ভর করে বাংলাদেশ শিবিরে। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়েন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টিভি পর্দায় দেখা যায় অস্বস্তিতে ভুগছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষার পর জানা যায়, ব্যাটিংয়ের সময় বাম উরুর পেশীতে টান পড়ায় অস্বস্তি বোধ করেন সাকিব।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেশিতে চোট পাওয়া সাকিব সেই চোট নিয়েই খেলতে চান। তবে তাকে নিয়ে বড় কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।
সোমবার পুনেতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, আমি চাই না এই ম্যাচ খেলতে গিয়ে সাকিব বড় ধরনের ইনজুরিতে পড়ুক। তবে আরও একবার স্ক্যান করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সুজন বলেন, ধীর গতিতে হাঁটা এবং মাঠে দৌড়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। গত ম্যাচে রান নিতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছিলেন। কাল হয়তো আবারো দেখা হবে। চোট পাওয়ার পরও তিনি ১০ ওভার ব্যাটিং ও বোলিং করেছেন। সে যদি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাহলে খেলবে। সাকিব খেলতে চায়। আমরা চাই না (তাকে ঝুঁকি নিতে)। এটা তার শতভাগ ফিটনেসের উপর নির্ভর করে।
তিনি আরও বলেন, টুর্নামেন্টে ছয়টি ম্যাচ বাকি আছে, আমরা একটি ম্যাচ খেলে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করতে চাই না। এটা ডাক্তার-ফিজিওর উপর নির্ভর করে। এটা কোচের মতামতের বিষয় নয়। আমরা চাই না এটা খেলে দীর্ঘমেয়াদে সাকিবের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হোক বা বিপন্ন হোক। আমরা চাই যে সাকিব যদি চায় এবং ফিজিওদের মত থাকে তাহলে সে খেলবে। এই ম্যাচ যদি তাকে ছাড়াই খেলতে হয় তাহলে আমরা খেলব।
এর আগে শনিবার (১৪ অক্টোবর) সাকিবের ইনজুরির বিষয়ে ফিজিও বায়েজিদ ইসলামের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বিসিবি।
সেখানে তিনি বলেন, ব্যাটিংয়ের সময় বাম উরুর পেশিতে টান পড়ায় অস্বস্তিতে থাকেন সাকিব। এরপর তিনি ফিল্ডিং করেন এবং তার ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেন। ম্যাচের পর তার এমআরআই স্ক্যান করা হয়। আসন্ন ম্যাচের আগে তার ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা ক্লিনিক্যালি প্রতিদিনের ভিত্তিতে তার অগ্রগতি মূল্যায়ন করব এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”