Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Politics / খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি করে বিপাকে সেই আ.লীগ নেতা, পেতে যাচ্ছেন কঠিন শাস্তি

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি করে বিপাকে সেই আ.লীগ নেতা, পেতে যাচ্ছেন কঠিন শাস্তি

আইন পরিবর্তন হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ডেকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা। তাকে দলীয় পদ থেকে সরানোর জন্য আন্দোলন করেছে বিরোধী দল। জেলা আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তবে চাপের মুখে সেই স্ট্যাটাস সরিয়ে নেন তিনি।

এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলছেন, আবদুল মোতালেব আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেই।

সভাপতির এ বক্তব্যের পর আব্দুল মোতালেবের দলীয় প্রতিপক্ষ সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের অনুসারীরা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আনিচুর রহমান নামে এক নেতাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এ নিয়ে দুই দিন ধরে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

শনিবার আ স ম ফিরোজের অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে উপজেলা সদরের জনতা ভবন, আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ এস ফিরোজ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।

সমাবেশে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবদুল মোতালেব যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সংগঠনবিরোধী কাজ। এ কারণে তাকে (আবদুল মোতালেব) দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি আর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী আলমগীর বলেন, আমি মোতালেবকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রে সুপারিশ করেছি, তাই তার আর কোনো দায়িত্ব নেই। শান্তি সমাবেশে ফিরোজ ভাই আনিচুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করতে বলেন। কিন্তু আমি করিনি। ফিরোজ ভাইকে বললাম, আপনি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি আনুন।

জেলা সভাপতির বক্তব্য সম্পর্কে আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই এই সংগঠনটি করে আসছি। সেজন্য আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, যুবলীগের সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। পরপর তিনবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।এই আওয়ামী লীগের কারণে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে আমি ও আমার সন্তানদের ৬৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।আমার একমাত্র মেয়ের স্বামী কারাগারে থাকা অবস্থায় ক্রসফায়ারে নিহত হন।’

তিনি বলেন, “তবে দলও আমাকে অনেক দিয়েছে। দলের কারণেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার বড় ছেলে হাসান মাহামুদ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়েছেন। পরিষদ (ইউপি)।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমি রাজনৈতিক বিবেচনায় ওই স্ট্যাটাস দেইনি। পরে যখন বুঝলাম দেওয়াটা ভুল ছিল, তখন আমি ওই স্ট্যাটাস ডিলিট করে দিয়েছি। এ বিষয়ে শোকবার্তাও দিয়েছেন।শুনেছি জেলা কমিটি আমার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠিয়েছে।কিন্তু যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় কমিটি কোনো নির্দেশনা না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি সাধারণ সম্পাদকের পদে আছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মোতালেব ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করেন। এ জন্য আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনেরও পরামর্শ দেন তিনি। পোস্টের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা। এ ঘটনার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে ‘বিভ্রান্তি’ দূর করতে গত ২ অক্টোবর আরেকটি পোস্ট দেন আবদুল মোতালেব। যদিও পরে তিনি দুটি পোস্টই মুছে দেন।

৭৮ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাত, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত ৯ আগস্ট থেকে দুই মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

About Zahid Hasan

Check Also

‘আ.লীগ রঙ দেখছে, কিন্তু রঙের ডিব্বা দেখেনি’ দল যে সিদ্ধান্ত নেবে মাথা পেতে নেব

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়, তাতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *