শক্ত অবস্থানে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, দখলে নিতে চায় জামায়াত

নীলফামারী-২ (সদর) আসনটি জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা হিসেবে বিবেচিত। এ আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী। এ আসনে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও দলীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নীলফামারীর সাবেক ভিপি জহুরুল আলম। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির খায়রুল আনাম। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বারবার পরাজিত হয়েছেন। এবারও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এখন তারা আসনটি দখল করতে চায়। ভোটের দিক থেকে এ আসনে আওয়ামী লীগের পরেই জামায়াত। এ মুহূর্তে জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই। কারণ ভোটাররা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে এসব প্রার্থী বা দলের কোনো ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা নেই।

স্থানীয়রা বলছেন, নানা কারণে স্বাধীনতার পর থেকে অবহেলিত সড়ক ছিল নীলফামারী জেলা। আসাদুজ্জামান নূর এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার স্পর্শে পাল্টে গেছে অবহেলিত এ জেলার চিত্র। মঙ্গা নামক দুষ্প্রাপ্যতা দূর করে এই জেলা বেকারত্বকে চিরতরে দূর করেছে। এলাকার রাস্তাঘাট নির্মাণ, বাইপাস সড়ক, মেডিকেল কলেজ, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, উত্তরা ইপিজেড, নার্সিং ইনস্টিটিউট, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নীলফামারী সরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজে অনার্স কোর্স, সাধারণ মানুষ। হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা। গড়ে উঠেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জেলার উত্তর সীমান্তের চিলাহাটি থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন ট্রেন চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। সব মিলিয়ে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসাদুজ্জামান নূরের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন, এই মুহূর্তে আমরা সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মমতাজুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ আদর্শের রাজনীতি করে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতির মাঠে রয়েছেন নেতাকর্মীরা। আমাদের আদর্শের লড়াই সবসময়ই চলছে। এই আদর্শের লড়াইয়ে আমরা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হব। নীলফামারী-২ নির্বাচনী এলাকা একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ২৬৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০১ জন।