গত কয়েকদিন ধরে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য বাড়ছে। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার (১১ অক্টোবর) দেশের মুদ্রার দরপতন হয়েছে ব্যাপকভাবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কর্মকর্তারা আলোচিত কার্যদিবস শেষে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। তারা সেখানে সুদের হার বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে। বিনিয়োগকারীরা আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে আছেন। ফলে নিরাপদ আশ্রয় মুদ্রায় বিনিয়োগ কমিয়েছেন তারা। এতে মার্কিন ডলারের তেজ কমে গেছে।
বেশ কয়েকজন ফেড কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বের ধারণা অনুযায়ী একটি কঠোর আর্থিক নীতি গ্রহণ করতে পারে না। তারপর থেকে, মার্কিন ট্রেজারি ফলন তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি ডলারের বড় অবনমন ঘটেছে।
একই সঙ্গে বেড়েছে অন্যান্য মুদ্রার মূল্যও। এই পরিপ্রেক্ষিতে, প্রধান ৬টি বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক ২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। বর্তমানে এটি দাঁড়িয়েছে ১০৫.৬৬ দশমিক পয়েন্টে।
স্টার্লিং ৩ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে।ব্রিটিশ মুদ্রাটির দাম স্থির হয়েছে ১ ডলার ২২৯৬ সেন্টে। ইউরোর দরও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১ ডলার ০৬০৬ সেন্টে। গত ২ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
চীনা মুদ্রা গ্রিনব্যাকের বিপরীতে ১ মাসের মধ্যে সর্বাধিক শিখরে পৌঁছেছে চীনা মুদ্রা। প্রতি ডলারে ৭.২৭০০ ইউয়ান বিক্রি হচ্ছে। আর এক সপ্তাহের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতি অসি মুদ্রার হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৪৪০।
থিয়েরি উইজম্যান, বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ম্যাককুয়ারির বৈদেশিক মুদ্রা এবং সুদের হারের বৈশ্বিক কৌশলবিদ বলেছেন, ফেড আরও সুদের হার বৃদ্ধি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণও বাদ দেয়া হতে পারে।