নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিশন ইতোমধ্যে আশ্বস্ত করেছে যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এছাড়াও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে কমিশন বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। তৃণমূল বিএনপি চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার এবং তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে ও দলের নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা সেখানে গিয়ে সিইসিকে চিঠি দেন। তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিব এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, তৃণমূল বিএনপি বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এর চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকে তারা খোলামেলা কথা বলেছেন।
নির্বাচন কমিশনের ব/রাবর ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। সুপারিশগুলি পরবর্তী তারিখে আমাদের কাছে লিখিতভাবে জানানো হবে। ১২টি প্রস্তাবের মধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি দিকগুলো বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশ, ভোট কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষর, প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের কাছে ফলাফল হস্তান্তর। তারা এসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, আইনশৃঙ্খলা প্রশাসনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা নিয়ন্ত্রণে ইসির ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, প্রথমে আইন ও সংবিধানের আলোকে কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে। যে ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করা হবে এবং তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে।
বিএনপি না এলেও তৃণমূল বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচনে যাবে, এতে কি আপনি সন্তুষ্ট? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, না না না। আইন প্রদত্ত ক্ষমতা ও সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে করা যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন পরে সিদ্ধান্ত নেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা হবে। বৈঠকের পর কমিশন এ বিষয়ে জানাবে।
এতে সব দলের আস্থা ফিরে আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী আসবে সেটা পরবর্তী সময়ের ব্যাপার। কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে যে তারা আইন দ্বারা কমিশনকে দেওয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
তিনি আরো বলেন, তারা যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন তার কিছু কমিশনের এখতিয়ারে, কিছু সরকারের এখতিয়ারে। তাই নির্বাচন কমিশন যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে বসবে। আইন প্রয়োগে তাদের সহায়তা চাই। সে আলোকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন সব কার্যক্রম গ্রহণ করবে।