সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। শেষ দুটিও হয়নি। ভবিষ্যতে এটা হবে বলে আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে, তার সমাধান রাজনীতিবিদদের কাছে আছে। তাদের দায়িত্ব সমাধান খোঁজা। দল, মত নির্বিশেষে নিঃশর্ত সংলাপ হওয়া দরকার। সংলাপের জন্য সংলাপ দরকার, সেখানেই সংকটের সমাধান নিহিত। সংলাপের বিকল্প নেই।
রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে নির্বাচন-পূর্ব পর্যবেক্ষণ দলের সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের চলমান বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মার্কিন প্রাক-নির্বাচন দলে এনডিএ, আইআরআই সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি এবং মালয়েশিয়ার একজন প্রতিনিধি ছিলেন।
বদিউল আলম মজুমদারকে প্রতিনিধিদল কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কোনো মন্তব্য করেননি। তারা শুধু জানতে চেয়েছিল। আমি আমার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বলছি না। তবে আমাদের এমন একটি সরকার থাকতে হবে যা নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। মিডিয়া ও সুশীল সমাজ তাদের ভূমিকা রাখতে পারে। যা দলীয় সরকারের অধীনে কখনো হয়নি। আমি আশা করি আমাদের রাজনীতিবিদরা সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করবেন। আমাদের তরুণ প্রজন্ম ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের স্বার্থে তাদের সংলাপে বসতে হবে।
বদিউল আলম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৮ সালে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এ নির্বাচন নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। কারণ প্রতি ৫ বছর অন্তর আমরা এই সমস্যার সম্মুখীন হই। ৫২ বছরেও আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারিনি। আমি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পদ্ধতি বের করতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন মানে চয়েজ বুুঝি। অপশন থেকে বেছে নেওয়া। কিন্তু বিকল্প না থাকলে নির্বাচন হবে কীভাবে? নির্বাচন কমিশন নিজেই বলছে তারা বিতর্কিত। একের পর এক বিতর্কিত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সম্প্রতি নিবন্ধিত দুটি দল নিয়েও বিরোধ রয়েছে। গাইবান্ধা উপনির্বাচনে রাঘব বোয়ালকে ছাড় দিয়েছে তারা।
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে কোনো কাগজের লেনদেন হয় না। তারা যে ফলাফল দেয় তা গ্রহণ করতে হয়। এগুলো মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন।