আমি একটা জিনিস বুঝিনা, বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা কেন বারবার শেখ হাসিনা এবং তাঁর মন্ত্রীদের একই প্রশ্ন করেঃ আমেরিকা কি আপনাদের সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা করেছে?
সুনির্দিষ্টভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আমেরিকা কখনও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে আলোচনা করেনি/করবেও না। শেখ হাসিনা নিজের উদ্যোগে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে চাইলে আমেরিকা বলবে।
এখন পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সাথে শেখ হাসিনার সেলফি তোলা ছাড়া সরাসরি আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি। কারণ, আমেরিকা মনে করেনা জো বাইডেনের সাথে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রয়োজন কিংবা গুরুত্ব আছে।
সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্লিংকেন এবং একাধিক আন্ডার সেক্রেটারির সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন মন্ত্রী সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও সাক্ষাত হয়ে গেছে। এসব সাক্ষাতে আমেরিকা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
বাকী ছিল দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একারণে তাঁর সাথে সাক্ষাত করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। এই সাক্ষাতেও হয়তো সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা আলোচনা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা নয়।
এই বৈঠক থেকে শেখ হাসিনা একটা আভাস হয়তো পেয়ে এসেছেন যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে জাতিসঙ্ঘের শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে আমেরিকার সমর্থন অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে যাবে। আমেরিকা সফরকালে বাংলাদেশের সেনা প্রধানকেও হয়তো একই রকম বার্তা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সারমর্ম প্রকাশ না হলে দুই পক্ষের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বাড়বে।