Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / আগামিকাল থেকে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষনা

আগামিকাল থেকে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষনা

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করবে। আগামীকাল থেকে এই দরে পেঁয়াজ বিক্রি করবে কোম্পানিটি।

সংস্থাটি কার্ডধারী এক কোটি দরিদ্র পরিবারকে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে দুই কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করবে। রোববার টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত কয়েক বছরের ঢাল সময় বিবেচনায় আগামীকাল সোমবার থেকে ঢাকা মহানগরীর কার্ডধারীদের কাছে পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। প্রতি কেজি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা।

তবে এসব পেঁয়াজ দেশে আসার পর সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকার বেশি কেজিতে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে নগরীতে কোনো পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা তাদের কাঙ্খিত দামে এসব পণ্য বিক্রি করছেন। একইভাবে আলুর বাজার এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সংকটের অজুহাতে এখনো ৪৫ টাকারও বেশি দরে আলু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ভোজ্যতেল ৫ টাকা কমলেও চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে এর কোনো প্রভাব নেই। আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। দাম কমার বদলে বেড়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভোজ্যতেল। ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজার তদারকির অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করছে না।

ভারত থেকে আমদানি করা ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। তবে কিছু নিম্নমানের পেঁয়াজ সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রামের বাজারে মাছ ও সবজির দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় ছোট-বড় সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে। সাগরে রুপালি ইলিশ ধরা পড়লেও দাম আকাশছোঁয়া। সরবরাহ ঘাটতির কারণে সব ধরনের সবজির দামও বেড়েছে। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। অন্যদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ টাকা। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমে ১৬৯ ও ১৪৯ টাকা হয়েছে। পাম তেলের দাম যথাক্রমে ৪ টাকা কমে ১২৪ টাকা হয়েছে।

About bisso Jit

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *