পিরোজপুরে বন্ধুকে ”হ”ত্যা’র পর চট্টগ্রামে আত্মগোপনকারী যুবকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে বন্দর নগরীর পাহাড়তলী হাজিক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের আটকের কথা জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) জসিম উদ্দিন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন শেখ রুম্মান হোসেন (৩০) ও মাসুম বিল্লাহ (৩৩)।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, পিরোজপুরে রুম্মান তার এক বন্ধুকে ‘হ”ত্যা” করে ঢাকায় গিয়ে মাসুমের কাছে আশ্রয় নেয়। পেশায় কাভার্ড ভ্যান চালক মাসুম তাকে আড়াল করতে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন।
“হাজি ক্যাম্প এলাকায় পুলিশ দেখে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তখন তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পিরোজপুরে মোবাইল চুরি করে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকার কথা জানায়। এরপর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও পিরোজপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বললে ‘হ”’ত্যা’র বিষয়টি জানা যায়।
গত শনিবার পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমেদায়কাঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ শেহাঙ্গল গ্রামের রুম্মান শেখের বাড়ির পাশে খড়ের গাদা থেকে হাসানুর রহমান অপু (৩৫) নামে এক ব্যক্তির’ লা’শ উদ্ধার করা হয়।
অপু ও গ্রেপ্তার রুম্মান একসঙ্গে সুপারির ব্যবসা করতেন। অপু গত ৪ অক্টোবর রুম্মানের সঙ্গে বের হয়ে আর বাড়ি না ফেরায় পরদিন তার স্ত্রী থানায় জিডি করেন।
নেশারাবাদ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাবিহা মেহবুবা এলাকাবাসীর বিষয়ে বলেন, রুম্মানের বাড়ির কাছে সুপারি পোড়ানোর সময় খড়ের স্তূপ থেকে পচা দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ অপুর লাশ উদ্ধার করে।
রুম্মানকে জিজ্ঞাসাবাদে জেলা প্রশাসক জসিম বলেন, “ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে রুম্মান ও অপু দুজনেই বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। আর্থিক লেনদেন ছাড়াও রুম্মানের স্বামী পরিত্যক্ত ও প্রবাস ফেরৎ বোনের সাথে অপুর ‘পরকীয়া’ সম্প’র্ক ছিল। রুম্মানের পরিবারের সদস্যরা এটা মেনে নিতে পারেননি।
অপুকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “গত ১ অক্টোবর বাড়ির পেছনে খড়ের গাদায় একটি গর্ত খোঁড়া হয়। ৪ অক্টোবর অপুকে বাসায় ডেকে খাওয়া-দাওয়ার পর রুম্মান তার মা-বোনসহ কয়েকজন মিলে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে ‘খু”ন’ করেন। পরে ‘লা”শ’টি আগে থেকে মাটি চা’পা দিয়ে রাখেন।”