সব দেশের নিজস্ব ভিসা নীতি আছে; তাই আমেরিকানদের ভিসা নীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই এবং আনন্দের ব্যাপারও নেই, এটা সাধারণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শনিবার বিকেলে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানা আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকানরা যা বলছে, বাংলাদেশে কেউ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে আমরা তাকে বিবেচনা করব না এবং তাকে ভিসাও দেব না। প্রত্যেকের নিজস্ব ভিসা নীতি আছে। প্রতিটি দেশের ভিসা নীতি সংস্কার ও পরিবর্তন করার অধিকার রয়েছে। আমাদের ভিসা নীতিও আছে। এটা নতুন কিছু নয়। আমেরিকানরা বলছে, যারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেবে তাদের ভিসা দেবে না।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বাধা দেওয়ার রেকর্ড কার আছে? অগ্নিসংযোগের রেকর্ড কার আছে? কারা ২০১৪ সালে ভোট কেন্দ্র পুড়িয়েছিল? কারা রেললাইন উঠিয়েছিল? এবার কারা দিনরাত বলছে ভোট হতে দেব না? ভোট হতে দেব না; এ বেআইনি কথা আওয়ামী লীগ বলে? আমরা বলি? যে সকল ব্যক্তি এই ধরনের আচরণ করবে, তাঁদের জন্য ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে। এটি মার্কিনদের ব্যাপার। ভয়ের ব্যাপার নেই, আনন্দেরও ব্যাপার নেই। এটি একটি সাধারণ জিনিস।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সারা বিশ্বে ৩০ কোটি বাঙালি রয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশে ১৮ কোটি বাঙালি রয়েছে। বাকি ১২ কোটি সারা বিশ্বে। বাঙালির সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাঙালিরা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমি সংঘাত, সাম্প্রদায়িকতা চাই না। আমরা সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বাঙালির সুনাম ক্ষুণ্ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
থানা-পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুশংকর পালের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন, সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য সিদ্দিক আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, কমিউনিটি নেতা বিজন কুমার দেব, জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় প্রমুখ।