নির্বাচন কব্জা করতে অনুগত লোকদের একের পর এক উচ্চপদে ঢালাওভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে হাসিনা সরকার: কেবিনেট সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপিসহ এখন প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো পদেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ রয়েছে।
আর এরকম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা কর্মকর্তারা কতটুকু অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে পক্ষপাতীন ভূমিকা পালন করতে পারবেন এ নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিকরা নির্বাচনের আগে ঢালাও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যাপারে আপত্তি প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন দূতাবাসের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যাপারে তাদের আপত্তির কথা সরকারকে জানিয়েছেন।
কূটনীতিকরা বলছেন, নির্বাচনের সময় প্রশাসন হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমেই মাঠ প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রধান যখন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে সে কারণেই তিনি চাইবেন যে সরকারকে সুবিধা দিতে এবং এ কারণেই তিনি পক্ষপাতপূর্ণ আচরণ করতে পারে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করছে। তাছাড়া স্বরাষ্ট্র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এবং রাষ্ট্রপতির মুখ্য সচিবও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকার কারণে তারা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আনুগত্য দেখাবেন, না যারা তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন তার প্রতি আনুগত্য দেখাবে এই প্রশ্নও তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এইসব কারনে নির্বাচনকালে তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রযোজন, তা জনগনের দাবী। আর এই দাবীর সাথে এখন বিদেশী বন্ধুরাও একমত।