Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার সরকারের ক্ষমতা ছাড়া নিয়ে নতুন ইঙ্গিত ফখরুলের, দিলেন কড়া বার্তা

এবার সরকারের ক্ষমতা ছাড়া নিয়ে নতুন ইঙ্গিত ফখরুলের, দিলেন কড়া বার্তা

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ কারও কাছে ইজারা দেওয়া হয়নি। ক্ষমতা ছাড়তে হবে। সময় থাকতে না ছাড়লে জনগণের জোরালো আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হবেন। কতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন, এখন থেকে গুনতে হবে।

তিনি বলেন, আবারও তারা (সরকার) জোরেসরে বলতে শুরু করেছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং তা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। মানুষকে ঠকানো, বোকা বানানোর চেষ্টা। তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনো হয়নি এবং হবেও না।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুক্রবার রাজধানীর পুরান পল্টনের কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সব সময় সংবিধান অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচন তার বড় প্রমাণ যে এটি সব মিথ্যা। ওই নির্বাচনের আগে দেশবাসীর সামনে তিনি বলেছিলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু আগের রাতেই ভোট হয়েছে। এবং ২০১৪ সালে কীভাবে ভোট হয়েছিল তাও আমি দেখেছি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবারও ভোটারহীন পাতানো নির্বাচন করতে চান। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব ভয়কে জয় করতে মানুষ এখন রাস্তায় নেমেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবার শুধু দেশের মানুষ নয়, গোটা পশ্চিমা বিশ্ব এখন শেখ হাসিনার নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বলছেন, এখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।

দেশের সব এলাকায় নৈরাজ্য চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতি মাসেই রিজার্ভ কমছে। পোশাক পণ্যের রপ্তানি কমছে। ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছেন না। মানুষ ঠিকমতো খেতে পারে না। কিন্তু নি/পীড়নের ভয়ে কেউ কথা বলে না। আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে গু/ম করা হয়েছে। ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক হয়েছে, এখন যাও’ স্লোগানকে তরুণদের কণ্ঠে জোরালোভাবে উচ্চারণ করতে হবে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে জনগণের তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। তবেই নিরপেক্ষ ভোট হবে। সেই ভোটে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। তাদের অধীনে বিএনপি ও সমমনা মানুষ কোনো ভোটে যাবে না।

তারা খালেদা জিয়াকে হ/ত্যার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে এমন কথা বলছেন যা মুখে বলা যায় না অভদ্র অশালীন কথা। এটা পরিষ্কার- এই সরকার তাকে েমারতে চায়, তাকে হ/ত্যা করতে চায়। মানুষের জীবন বাঁচানোর মালিক আল্লাহ।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

About Babu

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *