প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করেছি। আজকে আমাকে ভোট শেখাতে হবে না। আমাকে শেখাতে হবে না।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান এবং যুক্তরাজ্য সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম। রক্ত দিলাম। আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আজকে আমাকে ভোট শেখাতে হবে না। আমাকে শেখাতে হবে না। আমরা সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে আন্দোলন করি, রাস্তায় থাকি। আমাদের এমন না যে নতুন এসেছি। স্কুল জীবন থেকেই রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে করেছি, ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে করেছি। জিয়া, খালেদা জিয়া- সবই তো ভোট চোর। এক আওয়ামী লীগ আসার পর আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করতে হয় না। আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দেয়।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এ দেশের মানুষ জানে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য দেশের উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। দারিদ্র্য দূর হয়েছে। দারিদ্র্যসীমা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। কেউ ঘর ছাড়া থাকবে না।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে তারা অগ্নিসংযোগ, মানুষ হ”ত্যাসহ এমন কিছু নেই তারা করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এসে তারা গেল।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারা সব জায়গায় ধর্না দিচ্ছে। কারণ তাদের কোটি কোটি টাকা আছে। ক্ষমতায় থেকে তারা আজ এত টাকার মালিক, তারা পাচার করেছে, আজ তারা সেই টাকা অবাধে খরচ করছে এবং সর্বত্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা বাস্তব অবস্থাটা বুঝে কি না- আমি জানি না, কিন্তু তারা এই একই কথা, মানে ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে। সেটা আমি (যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে সফরে) স্পষ্ট বলে আসছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেননি। আমার মনে পড়ে না, এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কেউ জিজ্ঞেস করেনি। ২০০৭ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অভিজ্ঞতা, এরপর এটা কেউ চায়?
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, তারা বারবার তারিখ দিচ্ছেন। এই তারিখে নামবে, সেই তারিখে নামবে। তারা আন্দোলন করুক। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি যদি করা হয়, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের আন্দোলন বন্ধ করছি না। তারা মানুষকে একত্রিত করছে। খুব ভালো বিষয়। তারা যে টাকা চুরি করেছে আর সেই সময়ে যে টাকা মানি লন্ডারড হয়েছে তা ব্যবহার করছে তারা। অন্তত মানুষের প্যাকেটে কিছু টাকা তো যাচ্ছে।