গায়ক এস আই টুটুলের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন তানিয়া আহমেদ। বোঝাপড়া না থাকাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল। অনলাইনে এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী জানান, তানিয়াকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন এসআই টুটুল।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিন সিরাজের সোনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের পর টুটুল ও তানিয়ার সম্পর্ক ভেঙে যায়। সে সময় টুটুল যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তানিয়া চেষ্টা করেও টুটুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। বুঝতেই পারছেন, টুটুল তাকে ব্লক করেছে। তারপরও একের পর এক এসএমএস পাঠাচ্ছেন। পরে তার মনে হলো টুটুল তাকে ছাড়া থাকতে চায়। তার মতেই তাকে থাকতে দেওয়া প্রয়োজন। তখনই তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত হন যে তাদের সম্পর্ক স্থায়ী নাও হতে পারে।
তানিয়া বলেন, ‘যেদিন মনে হয় টুটুল আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, আমি টুটুলকে সব কিছু থেকে ব্লক করে দেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে আছে। এখন আমার সন্তানরা কল করে। তাদের সাথে কথা হয়। আমি চাই না বাচ্চারা অসম্মান করা শিখুক। তাদের বাবাকে অসম্মান করুক চাই না। কিন্তু আমি কোনো দিন এই ব্লক খুলব না। আমি যে টুটুলকে বিয়ে করেছি তাকে আমি চেয়েছিলাম, এসআই টুটুলকে চাইনি।’
তানিয়া আহমেদ বলেন, “বাস্তব জীবনে আবেগ অন্যরকম। প্র্যাকটিক্যাল জীবনে এটা কঠিন। জীবনে যখন এর প্রভাব পড়ে, মনে হয় একটু একটু করে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো জায়গায় মেলিনি। লোকেরা বলবে তানিয়া আপা আপনার অতীত জীবন ছিল।এখন আবার কেন?সাধারণত মেয়েরা এটা করতে সাহস করে না।কিন্তু লাভ হয়নি।
তানিয়া বুঝতে পারে টুটুলের সাথে সংসার করার সময় কিছু একটা মিথ্যা দাঁড়িয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, “যার সাথে আমার প্রতিনিয়ত সমস্যা হয়, আমার একবার মনে হয়েছিল যে দুজনের মধ্যে মতানৈক্য থাকার চেয়ে সত্য কথা বলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
তানিয়ার মতে, স্টারডম পাওয়ার পর টুটুল একটু একটু করে বদলে যেতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সে অপরিচিত হয়ে মানুষের মতো হয়ে যায়। তাই টুটুল নয়, তানিয়া শুধু টুটুলকেই চাইতো। তারা এটা নিয়ে গর্ব করত।
তানিয়া বলেন, ‘টুটুল আমার ওপর রাগ করেছিল। আমাকে বলতেন, আমার সাফল্য তোমার সহ্য হচ্ছে না। আমি তার সাফল্য সহ্য করতে পারি না। আমার ভালোবাসার জায়গাটা সে বুঝতে পারেনি। জীবনে যদি একটা ইচ্ছে জানতে চাইরে বলতাম, তুমি আগের সেই টুটুল হয়ে যাও।’
জানা গেছে, ২০২১ সালে তানিয়াকে ডিভোর্সের আট মাস পর বিয়ে করেন শারমিন সিরাজ সোনিয়াকে।