জেসমিন টুলি দেশের বেশ কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন এবং আলোচিত হন। নির্বাচন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেছেন, দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কী করতে হবে।
তিনি বলেন, ভোট মুক্ত করতে সবাইকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও ভালো ভূমিকা রাখতে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও ভালো ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশের ওপর।
বুধবার নগরীর নির্বাচন ভবনে ‘অনিরোধহীন ভোটিং অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, শুধু সম্প্রচারে অভিযোগ করলেই হবে না। পোলিং এজেন্টদের অবশ্যই নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের তালিকা ইসির কাছে পাঠাতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি বিরোধী দলও ইসিকে সাহায্য করছে না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনে শুধু কমিশন নয়, অনেক। তবে কোনো সমস্যা হলে কাঠগড়ায় দাঁড়ায় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেছেন, দেশের প্রধান দুই দল দুই মেরুতে অবস্থান করছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, ভোট সুষ্ঠু হবে। নিবন্ধিত দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করাই নির্বাচনকে সুন্দর করার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ৬৪টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কার্যত অংশগ্রহণ করেন।