এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী পিয়েরে আগোস্টিনি, হাঙ্গেরিয়ান বিজ্ঞানী ফেরেঙ্ক ক্রাউস এবং ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যান লিয়ের। পদার্থের ভেতরে ইলেকট্রন কীভাবে শক্তি বিনিময় করে, সে রহস্য উন্মোচনে গবেষণার জন্য তিন বিজ্ঞানী নোবেল জিতেছেন।
এদিকে, অ্যান লিয়ার যখন নোবেল কমিটির কাছ থেকে তার পুরস্কার জয়ের কথা জানানোর জন্য একটি ফোন পান, তখন তিনি ক্লাসে ব্যস্ত ছিলেন। নোবেল কমিটি একাধিকবার ফোন করেও তাকে পায়নি। ক্লাস চলাকালীন তিনি ফোন ধরেননি। ক্লাসের বিরতির সময় আবার কল এলে তিনি ফোন রিসিভ করেন। নোবেল কমিটির একজন ব্যক্তি অ্যান লিয়েরের কাছে কথা বলার জন্য সময় চান। অ্যান তাকে বললেন, ‘আমি ব্যস্ত, ক্লাস নিচ্ছি।তখন অ্যানের কাছ থেকে দু–তিন মিনিট সময় চেয়ে নেন সেই ব্যক্তি। তবে নোবেল জয়ের খবরে অনেকটাই নির্বিকার ছিলেন তিনি। ফোনে শেষে তিনি ফেরেন ক্লাসে।
নোবেল কমিটি অ্যান লিয়ারকে ডাকার বিষয়ে তার এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করেছে। নোবেল বিজয়ী অ্যানকে তার ছাত্রদের থেকে আলাদা করা যায়নি।
ক্লাসে বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত থাকার কথা শুনে যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি জানতে চান, এই সুসংবাদটি ছাত্রদের দিতে হবে কি না? অ্যান লিয়ার উত্তর দিয়েছিলেন, “আমি অবশ্যই তাদের বলব।” আমি আশা করি তারা জানলে খুব খুশি হবে। এটা অবশ্যই তাদের জন্য অনেক আনন্দের বিষয় হবে। কিন্তু আমাকে অবশ্যই আমার ক্লাস লেকচারে ফিরে যেতে হবে।’
নোবেল পুরস্কার যাচাইকৃত পাতায় অ্যান লিয়ারের ফোনে কথা বলার একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক! অ্যান, যিনি পদার্থবিজ্ঞানে ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন, তিনি তার ছাত্রদের থেকে অবিচ্ছেদ্য ছিলেন। আমাদের নতুন নোবেল বিজয়ী ক্লাসে ব্যস্ত ছিলেন। ক্লাসে নির্ধারিত বিরতির সময় তিনি খবরটি শুনেছিলেন। ফোনালাপের পর তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরে যান।
অ্যান লিয়ের সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একজন পদার্থবিদ। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফ্রান্সের পিয়েরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।