সিনেমা প্রেমীরা শ্রীদেবীর চেহারা এবং অভিনয় দক্ষতা দেখে আতঙ্কিত ছিলেন। তার অভিনীত হিট সিনেমাগুলো এখনো গেঁথে আছে দর্শকদের মনে।
পাঁচ বছর আগে ফর্মের রানীকে হারিয়েছে বলিউড। এই অভিনেত্রী ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮-এ মারা যান। দুবাইয়ের একটি হোটেলের বাথটাবে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তদন্তের পর জানা যায়, এটি একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু।
শ্রীদেবীর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি ভক্তরা। পুরো বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
স্ত্রীর মৃত্যুর পাঁচ বছর পর মুখ খুললেন শ্রীদেবীর স্বামী, প্রযোজক ও অভিনেতা বনি কাপুর। বনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শ্রীদেবী স্বাভাবিকভাবে মারা যাননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
বনি বলেন, “আমার স্ত্রী অন্য পাঁচজনের মতো স্বাভাবিকভাবে মারা যাননি। এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। আমি এত দিন জনসমক্ষে এটি নিয়ে কথা বলিনি কারণ তার মৃত্যুর পরে তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন আমাকে ৪৮ ঘন্টা ধরে এটি নিয়ে কথা বলতে হয়েছিল।” এমনকি আমাকে ‘লাই-ডিটেক্টর টেস্ট’ করাতে হয়েছিল। এরপর তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেছিল যে আমি কোনও অপরাধ করিনি। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে দুর্ঘটনার ফলে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু বাথটাবে কিভাবে পড়ে গেলেন নায়িকা? বনি বলেন, ‘শ্রীদেবী মাঝেমধ্যেই উপবাস করত। সারা দিন কিছু খেত না। কারণ শ্রীদেবী মনে করত পর্দায় সুন্দর দেখানোর জন্য ওকে ওর চেহারা ধরে রাখতে হবে। এমনকি এতে মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে পড়েও যেত সে। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলে এটা হচ্ছে।’
অভিনয় জীবনে দীর্ঘদিন ধরেই উপবাস করতেন শ্রীদেবী। পর্দায় তাকে আকর্ষণীয় দেখতে হবে, এই ভাবনা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। একটি সুদর্শন চেহারা বজায় রাখার জন্য, তিনি কখনও কখনও পুরোপুরি খাওয়া ছেড়ে দিতেন।
বনি বলেন, ‘নাগার্জুন আমাকে জানিয়েছিলেন, একটি ছবিতে কাজ করার সময় নাকি উপবাস করার ফলে বাথরুমে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল শ্রীদেবী। ওই দুর্ঘটনার ফলেই দাঁত ভেঙে গিয়েছিল তার।’