সরকার জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করেছে, যেখানে জ্বালানি তেল ডিলার পর্যায়ে কমিশন বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সমন্বয় বাস্তবায়ন করেছে। ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দাম সমন্বয়ের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে ভোক্তা পর্যায়ে দামের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভোক্তাদের আগের দামেই জ্বালানি তেল কিনতে হবে।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিলার বা এজেন্ট পর্যায়ে কমিশন নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। গেজেটে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ/সমন্বয়ের (বৃদ্ধি/হাস) ক্ষেত্রে অবচয় এবং সব খরচসহ ডিলার/এজেন্টস কমিশন এবং ট্যাংকলরির ভাড়াসহ অকটেনে ৪.২৮ শতাংশ, পেট্রোলে ৪.৩৪ শতাংশ, কেরোসিনে ২ শতাংশ ও ডিজেলে ২.৮৫ শতাংশ কমিশন নির্ধারণ করে সরকার।
মূল্য সমন্বয়ের আগে, ডিলার স্তরে ডিজেলের দাম ছিল ৮৮ টাকা ২১ পয়সা, যা বর্তমানে ১০১ টাকা ৪৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেরোসিনের দাম ছিল ৮৮ টাকা ৯৭ পয়সা, যা ১০২ টাকা ৩১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া অকটেনের দাম ১০৪ টাকা ২ পয়সা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৯ টাকা ৬২ পয়সা, পেট্রোলের দাম ৯৯ টাকা ৮৮ পয়সা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৪ টাকা ৮৬ পয়সা।
কিন্তু এই মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম আগের মতোই রয়েছে।