চীনে চিপ রপ্তানিতে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যেটা বানিজ্য বিষয়ে অন্তর্ভূক্ত। বাইডেন প্রশাসন চীনকে সতর্ক করে বলেছে যে তারা এই মাসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চিপ বা এআই চিপস এবং চিপ তৈরির উপকরণ রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার বিধিমালা হালনাগাদ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মূলত এ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার বিষয় দেখভাল করে। তারা এখন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার নিয়ম হালনাগাদ করতে কাজ করছে। এটি করার মাধ্যমে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেদারল্যান্ডস এবং জাপানের নেতৃত্ব অনুসরণ করে চীনে চিপ রপ্তানি আরও সীমিত করবে। এছাড়াও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চিপ রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব ফাঁকফোকর আছে, সেগুলো বন্ধ করা হবে।
এর আগে, মূল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল ৭ অক্টোবর, ২০২২-এ। চিপ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞার এক বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির আকাশসীমায় চীনা গোয়েন্দা বেলুন ভূপাতিত করার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বাইডেন প্রশাসন অবশ্য নিষেধাজ্ঞার হালনাগাদ আগেই ঘোষণা করে চীনের সাথে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ছিল চীনকে তার সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার জন্য মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে উন্নত চিপ তৈরির উপকরণ আমদানি করা থেকে বিরত রাখা।
মার্কিন চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওয়াশিংটনের কাছে কিছু দেওয়ার মত নেই। মুখপাত্র লিউ পেংগুই বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে জাতীয় নিরাপত্তার ধারণা সম্প্রসারণ করছে এবং রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চীনের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, আমরা তার জোর বিরোধিতা করি।’
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বিশ্বের চিপ তৈরির উপকরণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও জাপান। তারা এই বছরের শুরুতে চীনে এই উপকরণগুলির রপ্তানি সীমিত করতে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর রয়টার্সের।