মানি লন্ডারিং মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে দু/র্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে।
২৩ জুলাই ২০২২-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর তদন্তের বিষয়ে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠায়। অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওর কাছে শ্রমিকদের করা অর্থ পাচারের অভিযোগও তদন্ত করতে চায় সংস্থাটি।
গ্রামীণ টেলিকম এবং এর প্রতিষ্ঠাতা, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তার অধীনস্থ কর্মীরা ১১০টি মামলা দায়ের করে। সম্প্রতি ১৭৬ শ্রমিকের ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করে আবারও আলোচনায় আসেন ড. ইউনুস। মামলা প্রত্যাহারের জন্য শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। এরপর মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
তবে শিগগিরই মামলার কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না নোবেলজয়ী ইউনূস। ইউনূসের বিরুদ্ধে দু/র্নীতি তদন্তের জন্য গত ১৪ জুলাই দুদকে আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সেই অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির কর্মচারীদের মধ্যে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টনে অনিয়ম হয়েছে।
আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে, পুরো বিষয়টির বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন। কারণ শ্রমিকরা নির্দিষ্ট শেয়ার থেকে বঞ্চিত করেছেন ড. ইউনুস।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে ৪৫ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা পরিশোধ করেনি। এখানেও দেশের স্বার্থ ব্যাহত হয়েছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের অবসানের মামলা চলমান থাকা অবস্থায় শ্রমিক সংগঠন ও গ্রামীণ টেলিকমসহ বাদীর আইনজীবীদের সহযোগিতায় ১১০টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর জন্য নিষ্পত্তি চুক্তি, আর্থিক অনিয়ম এবং লেনদেনের তদন্ত প্রয়োজন।
ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-তে অর্থ পাচারের অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা। গ্রামীণ টেলিকম কর্মীদেরও অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
১৭ জুলাই ২০২২ তারিখে দু/র্নীতি দমন কমিশন অভিযোগটি গ্রহণ করে। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। অভিযোগ গৃহীত হলে দুদক প্রাথমিক তদন্ত শুরু করবে।
একটি সূত্র বলছে, প্রয়োজনে দুদককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ড. ইউনুসকে।